বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় অশনি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ইতিমধ্যে অশনির প্রভাবে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ এই বৃষ্টির কারণে ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
সোমবার (৯ মে) দুপুরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভিজে যায় ধান, কিছু অংশ বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গিয়েছে।
উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে বোরো ধান কাটার কাজ। অনেক কৃষক ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলেছেন আবার কারও কারও কাটা ধান রয়ে গেছে ক্ষেতেই। হঠাৎ বৃষ্টিতে অনেক স্থানেই সেই ধান ভিজে গেছে। আর কাটার অপেক্ষায় থাকা ধানগুলো হেলে পড়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের কৃষক শাহাবুল বলেন, ১০ কাঠা জমির ধান কেটে রেখেছিলাম বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছু ধান ভিজে গেছে আর কিছু পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছি। ভিজে যাওয়া ধানের মধ্যে পানি লাগার কারণে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বাঁকা ইউনিয়নের কৃষক মিলন হোসেন জানান, রোববার সকালে দুই বিঘা জমির ধান কেটেছেন। কিন্তু সোমবারের বৃষ্টিতে মাঠে কেটে রাখা ধান পানিতে ভিজে গেছে। এভাবে যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে কেটে রাখা ধান প্রায় সবই নষ্ট হয়ে যাবে।
ধান চাষী আনোয়ার বলেন, ঈদের দিন থেকে অনেক বৃষ্টি ছিল। গত দুই তিন বৃষ্টি না থাকায় আমরা ধান কেটে মাঠে রেখেছিলাম। বাড়ি আনার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, বৃষ্টিতে কেটে রাখা কিংবা পড়ে যাওয়া ধান চারা গজিয়ে কিংবা ঝরে কিছুটা ক্ষতি হবে। তবে যদি বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে কৃষককের ক্ষতির মাত্রা বাড়বে।
এদিকে, বৃষ্টির কারণে শহরের হাট-বাজারে, রাস্তাঘাটে কমেছে মানুষের চলাচল। অলস বসে সময় কাটছে কিছু কিছু দোকানি। কমেছে বেচাকেনা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।