খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মে মাসের সভা রবিবার(১৯মে) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ সভায় জানান, গত মাসে জেলা পুলিশের অধিক্ষেত্রে ২৫৩টি মামলার মধ্যে ১৫৬টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে দেশীয় একটি পাইপগান ও একটি শুটারগান। গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে আট কেজি, গাঁজার গাছ আটটি, ইয়াবা ট্যাবলেট ২২৮টি। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় পর্বে খুলনা জেলার দিঘলিয়া, তেরখাদা ও ফুলতলা উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন প্রায় ১হাজার ৮৬৩ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ সভায় জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে আগামী ২১ মে খুলনা জেলার তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনি সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য বিভাজন করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন প্রায় সাড়ে ৩হাজার ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন সভায় জানান, শতভাগ বোরোধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। ২লাখ ৯৮ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন চাউলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১মাসের মধ্যে ৪হাজার ৫০০কৃষকের মাঝে ২লাখ ২৫ হাজার নারিকেল চারা বিতরণ করা হবে। কৃষকপ্রতি পাঁচটি করে নারিকেল গাছের চারা পাবেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. শরিফুল ইসলাম সভায় জানান, আসন্ন কোরবানিতে খুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদিপশু মজুত রয়েছে। খুলনা জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৪টি ও ছাগল/ভেড়ার সংখ্যা ৮৯ হাজার ২২৪টি। মোট গবাদিপশুর চাহিদার সংখ্যা ১লাখ ৫৬ হাজার ২৭৮টি। চাহিদার পরিমাণ ১লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৩টি। চাহিদার বিপরীতে ২১ হাজার ৮৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জানান, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় পর্বে খুলনা জেলার দিঘলিয়া, তেরখাদা ও ফুলতলা উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা করেন। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আগামী শুক্রবার দিবাগতরাত ও শনিবারে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’ খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপসহ বিভিন্ন উপজেলাতে আঘাত হানতে পারে। এজন্য উপজেলাসমূহে ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩টি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ৫হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়সহ যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা দেন জেলা প্রশাসক।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এএজে