ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে খুলনার কয়রা ও বাগেরহাটের মোংলার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা এবং ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাড়িয়েছে র্যাব-৬। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে র্যাব-৬ খুলনা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ২৬ ও ২৭ মে প্রাকৃতিক দূযোর্গ ঘূর্ণিঝড় রিমালে খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অনেকেই নিজের শেষ সম্বল ও মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু হারিয়ে ফেলে। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ ঘূণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের অনেকেই কর্মহীন হয়ে অসহায় ও মানবেতর জীপন-যাপন করছে। এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়ে।
র্যাব আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের পূর্ব থেকেই খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলের স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে এই অঞ্চলের সর্বসাধারণকে সর্তক করা এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে দ্রুতসময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে র্যাব-৬। পাশাপাশি র্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার কয়রায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় শুকনা রসদ- চাল, ডাল, আটা, তেল, চিড়া, গুড়, স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী এবং রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও র্যাবের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টীম ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খাদ্য সংকট, পানীয় জলের দুষ্প্রাপ্যতা এবং বিভিন্ন ধরণের পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে র্যাব-৬, জনমানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে এই অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চলমান মানবিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।