ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ এক রাউন্ড খেলার পরেই বন্ধ হয়ে যায় করোনার কারণে। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাসেও কোন খেলাধুলা নেই দেশে। তবে টাইগারদের শ্রীলঙ্কায় সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার কথা ছিলো। সেই সিরিজ নিয়েও এখন অনিশ্চয়তা, শঙ্কা। তবে বিসিবি ঘোষণা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সিরিজ না হলে শীঘ্যই ফিরবে ঘরোয়া ক্রিকেট। আর তাতেই স্বস্তি দেশের ঘরোয়া ক্রিকেঃে খেলা ক্রিকেটারদের। স্বল্প সময়ের নোটিশে ১৫ম থেকে ২০ দিন অনুশীলনের সময় পেলেই তারা প্রস্তুত হয়ে যাবে ম্যাচের জন্য এমনটা বলছেন জাতীয় লিগ কিংবা ঢাকা লিগের তারকা ক্রিকেটাররা।
মাঠে ক্রিকেট ফেরার আনন্দে ভাসছেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা তুষার ইমরান মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা সবাই চাচ্ছিলাম ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হোক। কিন্তু মহামারির কারণে সব কিছুই থমকে গেলো। এখন সব কিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আমরাও আর কতদিন বসে থাকবো! অবশ্যই খুব ভালো উদ্যোগ ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ শুরু করা। এটা সবার জন্য ভালো।’
হার্ডহিটিং ওপেনার শামসুর রহমান শুভ বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে ফিরছে এটা অনেক স্বস্তির খবর। আমরা দীর্ঘদিন গৃহবন্দি। খেলা হলে মন সতেজ হবে, খেলোয়াড়রা অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবে। এটা নিশ্চয়ই ভালো খবর।’
একই সুর ইলিয়াস সানীর। জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পাঁচ উইকেট পাওয়া বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে ফিরছে এর থেকে ভালো খবর আর কী হতে পারে। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। ক্রিকেট খেলবো এটাতেই আনন্দ। বিসিবিকে ধন্যবাদ ক্রিকেটটা ফেরানোর কথা ভাবনার জন্য। আশা করছি দ্রুতই আমরা মাঠে ফিরতে পারব।’
গত মার্চ থেকে প্রতিযোগিতামূলক সকল ক্রিকেট বন্ধ। ১৬ মার্চ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডের খেলা হয়। তুষারের আবেদন ঢাকা লিগ দিয়েই যেন মাঠে গড়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট, ‘যেখান থেকে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু হলেই ভালো হয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমরা মাত্র একটা করে ম্যাচ খেলেছি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে যদি শুরু করে তাহলে সব খেলোয়াড়দের জন্যই ভালো। লিগটা যেন এ বছর হয়, সিঙ্গেল লিগ হলেও যেন শেষ হয়।’
শামসুর রহমানেরও একই দাবি, ‘ঢাকা লিগ দিয়ে মাঠে ফিরলে একটা ধারাবাহিকতা থাকবে। তবে বিসিবি আমাদেরকে যেভাবে ফেরাতে চায় সেভাবেই আমরা খেলতে প্রস্তুত থাকব। বিসিবি নিশ্চিয়ই আমাদের খারাপ চাইবে না।’
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অনুশীলনের ফিরলেও স্থানীয় ক্রিকেটাররা মাঠে ফেরেননি। কয়েকজন ব্যক্তিগত অনুশীলন করলেও বেশিরভাগ এখনও গৃহবন্দী। চারদেয়ালে চলছে তাদের ফিটনেস ট্রেনিং। বিসিবি লিগ শুরুর ঘোষণা দিলে খুব বেশি প্রস্তুতির সময় লাগবে না বলে মনে করছেন তুষার ও শামসুর।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ হাজারেরও বেশি রান করা তুষার বলেন, ‘আমি মনে করি অনেক বেশি সময় দরকার হবে না প্রস্তুতির জন্য। স্বল্প সময়ের নোটিশেই প্রস্তুত হতে পারবো আশা রাখি। আমরা যারা অনুশীলনের বাইরে আছি তাদেরকে ১৫ থেকে ২০ দিন যদি অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয় সেটা পর্যাপ্ত। ’
শামসুরের ভাষ্য, ‘আমাদেরকে ১৫-২০ দিনের জানালা দিলেই হবে। এ সময়ে অনুশীলন করে ম্যাচ ফিটনেস পাওয়া সম্ভব। ’
খুলনা গেজেট/এএমআর