পদ্মায় ঘন কুয়াশার কারণে ফেরির দিক-নির্দেশনামূলক বাতির আলো অস্পষ্ট হওয়ায় মাঝ নদীতে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে তিনটি ফেরি নোঙর করে আছে।
অন্যদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আটকে পড়েছে যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি এবং সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েকশ যানবাহন।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন গণমাধ্যমকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাময়িক ফেরি চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ঘাট এলাকায় কুয়াশা বাড়তে থাকে। বুধবার মধ্যরাত ১টার দিকে নদীতে কুয়াশার মাত্রা বেড়ে গেলে ফেরি দিক-নির্দেশনামূলক বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এতে নৌপথ ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে মাঝ পদ্মায় যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে তিনটি ফেরি নদীতে নোঙর করে। পরে মধ্যরাত দেড়টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
তিনি আরো বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নৌপথের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। কুয়াশা কমে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। এরপর সিরিয়াল অনুযায়ী অপেক্ষমাণ যানবাহনগুলোকে নৌপথ পারাপার করা হবে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট মিলে মোট ১৬ ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে যুক্ত আছে বলে জানান ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন।
এদিকে নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকে চালক ও সহযোগিতা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে চরম বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে বাসের নারী ও শিশু যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম