মোদি সরকারের তপশিলী জাতি-উপজাতি সংশোধনী আইনকে সামনে এনে ইডির অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। তিনি তফসিলি জাতি ও জনজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
ভারতীয় সংবিধানের ১৫ নম্বর তফসিলের অন্তর্গত তফসিলি জাতি ও জনজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন অনুযায়ী তফসিলি জাতি বা জনজাতিভুক্ত কোনও ব্যক্তির উপরে অবমাননা, অত্যাচার বা হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা যাবে না। এটাকেই রক্ষাকবচ করে তিনি ইডির অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে।
মোদী সরকারের সংশোধনী আইনই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কাছে হয়ে গেল রক্ষাকবচ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, জনজাতি জনগোষ্ঠীর নেতা হেমন্ত সোরেন ইডির উপর চাপ বৃদ্ধি করতেই এই পদক্ষেপ করেছেন।হেমন্তকে জমি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় জি়জ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যেই ইডির তদন্তকারী দল তাঁর রাঁচীর বাসভবনে গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে, ২০১৮ সালে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, শোষণ, বঞ্চনা রুখতে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হয়েছিল। ওই সংশোধনী অনুযায়ী, এই সমস্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে বিনা তদন্তে এফআইআর নিতে হবে। অভিযুক্তের আগাম জামিনেরও কোনও সংস্থানও নেই সেই আইনে।
উল্লেখ্য, মাত্র দুদিন আগে হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে হানা দিয়ে ইডি তার একটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করে। আবার তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশে কয়েকবার নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্হা ইডি। আর এই গ্রেপ্তারি এড়াতে ইডির বিরুদ্ধে তপশিলী জাতি-উপজাতি সংশোধনী আইনে ইডির বিরুদ্ধে মামলা করলেন হেমন্ত সোরেন। এতে ইডি কিছুটা চাপে থাকবেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ