মাদক কেনার টাকা খরচ করে ফেলায় আরাফতের মা-বাবাকে নিয়ে গালমন্দ করে নিহত শামীম। এর প্রতিশোধ নিতে শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে চার্জিং পয়েন্টের সাবেক ম্যানেজার আরাফত। সুযোগ খুঁজতে থাকে সে। বুধবার গভীর রাতে চার্জিং পয়েন্টে কেউ না থাকার সুযোগে শামীমকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডে নিজের দায় ও অবস্থান স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে আরাফত।
শুক্রবার দুপুর ১২ টায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ এর বিচারক মোঃ শাহিদুল ইসলাম। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আব্দুর রহিম জানান, হত্যাকান্ডের দু’দিন আগে শামীম আসামিকে গাজা ক্রয়ের জন্য দুইশ’ টাকা দেয়। চার্জিং পয়েন্ট থেকে চাকরীচ্যুত হওয়ায় এ টাকা খরচ করে ফেলে আরাফত। এ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে শামীম ওই টাকার জন্য মা-বাবা তুলে আরাফতকে গালমন্দ করতে থাকে। এ টাকার জন্য তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে।
ঘটনার দিন রাত ১২ টায় আরাফতকে মোহাম্মাদ নগর বাবলু সড়কের চার্জিং পয়েন্টে ডেকে ডেকে নেয় শামীম। আবারও তাকে গালমন্দ করে শামীম। এরপর দু’জন একসাথে একই খাটে ঘুমিয়ে পড়ে। শামীম গভীর ঘুমে থাকায় রাত দেড় টার দিকে আরাফত ঘুম থেকে উঠে গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাকে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে আরাফত রাতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এর আগে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের সন্দেহে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চার টায় সাচিবুনিয়া থেকে আরাফতকে হেফাজতে নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য দেয়।
এরপর তথ্য মোতাবেক আরাফতের বাড়ি থেকে নিহতের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন, খোয়া যাওয়া নগদ ২৩ হাজার টাকা ও চার্জিং পয়েন্টের তথ্য সংরক্ষণের ডিভিআর ডিভাইস ময়ূর নদের পানি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই