খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

গোপালগঞ্জের মনিরার পেট থেকে দেড় বছর পর বের করা হলো সেই কাঁচি

গেজেট ডেস্ক

অবশেষে চার ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর পেট থেকে বের করা হলো সেই কাঁচিটি। তবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি মনিরা খাতুনের (১৮)। এছাড়া দেড় বছর ধরে কাঁচিটি পেটের ভেতর থাকার কারণে তার নাড়ির কিছু অংশে পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তার কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা। মনিরা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ঝুটিগ্রামের খায়রুল মিয়ার মেয়ে।

ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। কারণ কাঁচিটি প্রায় দুই বছর ধরে পেটের ভেতরে থাকায় অপারেশন করারও ঝুঁকি ছিল। এরপরও তিন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হই।

রোগীর ভাই কাইয়ুম শেখ বলেন, মনিরাকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন শেষ করে ৩টা ১০ মিনিটের দিকে অবজারভেশন বেডে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা শুনেছি বোন মনিরার পেটের নারীর কিছু অংশ পচে গেছে। আমাদের কাছ থেকে সই নেওয়ার সময় শুনেছি আগামী ৩ মাস পর ফের অপারেশন করা লাগবে। এছাড়া হয়তো আমার বোনের কখনো বাচ্চা হবে না। আর ফের অপারেশন করা লাগলে টাকা-পয়সা কোথায় পাব তা ভেবে পাচ্ছি না।

চিকিৎসকের ভুলের কারণে ক্ষতিপূরণ মামলা করা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আগে রোগীকে বাঁচানো আমাদের কাছে বড়। আমরা থানায় জিডি করতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মনিরাকে ভর্তি করে অপারেশন করার জন্য বলেছে। পরে অন্য বিষয় ভাবা হবে।

ডা. রতন কুমার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাঁচিটি পেটের ভেতর থাকার কারণে তার নাড়ির কিছু অংশ পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তার কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে। মনিরার এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তাই জ্ঞান ফেরা ও সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!