যশোরে এক গৃহশিক্ষককে আটকে রেখে মারপিট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীর মা-বাবার বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষক যবিপ্রবির ছাত্র শেখ নেছার উদ্দীনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্ত্যপ্ত পরিস্থিতি সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ হয়।
অভিযুক্ত নারী তানিয়া আলমকে পুলিশ আটক করেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের পর দুপুরে তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। মামলাটি করেছেন আহত শিক্ষক ফরিদপুরের বোয়ালমারি এলাকার শহিদুল ইসলাসের ছেলে শেখ নেছার উদ্দীন। তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত শিক্ষক নেছার উদ্দিন জানিয়েছেন, যশোর শহরের কাঠালতলা এলাকার আলমগীর কবীরের শিশু সন্তানকে বাড়িতে গিয়ে পড়াতেন তিনি। কিন্তু গত চারমাস যাবৎ তার বেতন দেন না কবীর। এ নিয়ে তিনি কবীরের স্ত্রী তানিয়া আলমকে বারবার তাগাদা দিলেও তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি মঙ্গলবার নেছার তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীর মা তানিয়ার কাছে যান। এসময় তিনি পাওনা বেতন চার মাসের ১৬ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু তানিয়া এ টাকা দিতে রাজি হননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তিনি তার স্বামী আলমগীর কবীরকে ডেকে এনে তাদেরকে আটকে রেখে ব্যাপক মারপিটে জখম করেন। এসময় তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, তারা মারপিটের খবর শুনে ওই বাড়িতে যান ও বিষয়টি দেখতে পান। এরপর নেছার যবিপ্রবিতে তার বন্ধুদের খবর দেন। এ সংবাদ শুনে যবিপ্রবি থেকে তাদের বন্ধুরা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে আরও শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হন। তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। বিষয়টি তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে দুটি বাহিনীর সদস্যরা হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হন। তারা দুই পক্ষকেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। শিক্ষক নেছারের শরীরে মারপিটের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তানিয়ার বিরুদ্ধে রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। এরপর দুপুরে তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে