বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চারদিকে গুম, খুন, অপহরণ, হামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে দেশবাসী সর্বদা আতঙ্কিত। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামাল নিজ এলাকা থেকে ঢাকা আসার পথে আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার গাড়ির পথরোধ করে। তারা রফিকুল ইসলাম জামালকে লাঠি, রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
অন্যদিকে, ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু এবং জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি পালনকালে কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা কৃষকদলের নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মধ্যরাতের ভোটের সরকারের দুঃশাসনে এখন মানুষের জানমালের ন্যুনতম নিরাপত্তাটুকও নেই। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরার সামান্যতম গ্যারান্টি নেই। চারিদিকে গুম, খুন, অপহরণ, হামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে দেশবাসী সর্বদা আতঙ্কিত।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্থাৎ সভা, সমাবেশ ও মিছিল করার সংবিধান স্বীকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়াবহতায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার করে কারান্তরীণ করা হচ্ছে।’
রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলা এবং বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এভাবে নির্যাতন-নিপীড়ণ ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তার করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আওয়ামী সরকারের বিদায় নেওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।’
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। তিনি গ্রেপ্তারকৃত কৃষকদল নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
খুলনা গেজেট / আ হ আ