কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে গতকাল মঙ্গলবার নিহত ছয়জনের স্মরণে বিএনপি ও সমমনা দল আয়োজিত গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির পর পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
গায়েবানা জানাজা নামাজ শেষে নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে বের হয়ে পল্টনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দেন। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশও কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাসও নিক্ষেপ করে পুলিশ।
নামাজ শেষে মির্জা ফখরুল মসজিদের উত্তর গেট থেকে বের হওয়ার পর সেখানে আগে থেকে উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির কিছু নেতাকর্মী স্লোগান দেওয়া মাত্রই পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর তারা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের আশপাশ এবং পল্টনের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছিলেন। পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। গলিগুলোয় পুলিশের অবস্থান দেখা যায়।
দুপুর ১২টার আগে থেকেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, গায়েবানা জানাজা নামাজের অনুমতি নেই। পরে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বায়তুল মোকাররমে সামনে আজাদ প্রডাক্টসের গলিতে কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় মিলন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরপরে এডভোকেট সুজন নামে বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এএজে