খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ
  সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা গেছেন
  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

গাজায় গণহত্যা নিয়ে আইসিজের সিদ্ধান্ত আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় সামরিক তৎপরতাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে কি না, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সে সিদ্ধান্ত দেবেন। আজ শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। আইসিজের এই আদেশ বিশ্বজুড়ে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। আইসিজে বলেছেন, গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় শুক্রবারের এ রায় হবে যুগান্তকারী।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। আজকের রায়ে আইসিজে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীকে দ্রুত সামরিক তৎপরতা বন্ধের আদেশ দিতে পারেন। ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে কি না, সে প্রশ্নের সুরাহা আজ করবেন না আইসিজে। শুধু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। গণহত্যা বিষয়ে রায় দিতে আরও সময় লাগবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজের দেওয়া আদেশ দেশটির ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা গত ডিসেম্বরে আইসিজেতে মামলাটি করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিজেতে দুই দিনের শুনানি হয়। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন। জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ ঘোষণা করা জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়।

গাজায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ৯টি আরজি জানিয়েছে। গাজায় সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ স্বাভাবিক রাখতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ইসরায়েল প্রায়ই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ও জাতিসংঘের তদন্ত বর্জন করে থাকে। তাদের দাবি, এগুলো পক্ষপাতদুষ্ট। তবে চলতি মাসের শুরুতে আইসিজেতে অনুষ্ঠিত দুই দিনের শুনানিতে দেশটি একটি উচ্চপর্যায়ের আইনি দল পাঠিয়েছিল।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আইনি সংস্থা আইসিজে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত এই আদালত দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মেটাতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। আইসিজের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে তা মানার জন্য কোনো দেশের ওপর খুব কম শক্তিই খাটাতে পারেন এই আদালত। আইসিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই।

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, আইসিজের আদেশ তিনি মানার বাধ্যবাধকতা অনুভব করেন না। এর আগে ১৪ জানুয়ারি টেলিভিশনে প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কেউ আমাদের থামাতে পারবে না—দ্য হেগ নয়, শয়তানের অক্ষ নয়, অন্য কেউ নয়।’

‘দ্য হেগ’ বলতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) কথা বুঝিয়েছেন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোটকে ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ বলে ডাকা হয়। যাকে ‘শয়তানের অক্ষ’ বলেছেন নেতানিয়াহু।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!