গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এর পাশাপাশি ইসলামিক জিহাদ ও প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা, রয়টার্সের।
নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরপরই এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, (ইসরাইলি বাহিনীর) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দিবিনিময়, গাজার পুনর্গঠন, বাস্তুচ্যুতদের তাদের আবাসস্থলে ফিরে যাওয়া, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন বা গাজা ভূখণ্ডের এলাকা হ্রাস প্রত্যাখ্যান এবং আমাদের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; হামাস একে স্বাগত জানায়।’
এ প্রস্তাবের নীতিগুলো ‘আমাদের জনগণ এবং প্রতিরোধ বাহিনীর দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’ উল্লেখ করে হামাস আরও বলেছে, আমরা এসব বিষয় বাস্তবায়নে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় যুক্ত হতে ইচ্ছুক।
হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহারি বলেন, সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাস সম্মতি দিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ইসরাইল যাতে এ প্রস্তাব মেনে চলে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ওয়াশিংটনের।
মঙ্গলবার সকালে ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রস্তাবে যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোকে তারা ‘ইতিবাচকভাবে’ দেখছে, ‘বিশেষভাবে আগ্রাসনের সর্বাঙ্গীণ অবসানে পৌঁছানোর দরজা খোলার পরিপ্রেক্ষিতে’ এবং গাজা ভূখণ্ড থেকে ‘ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’ প্রসঙ্গে। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখা দিয়েছিলেন। এতে তিন পর্বের যুদ্ধবিরতির পর পর্যায়ক্রমে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ অবসানের কথা বলা হয়েছে। কয়েকটি দেশের সরকারের সঙ্গে ধনী দেশগুলোর জোট জি সেভেন এতে সমর্থন দিয়েছিল। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদও প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাবের পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে। পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে শুধু রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
খুলনা গেজেট/এইচ