ফের বিতর্কে দেশের গায়ক মইনুল আহসান নোবেল। জনপ্রিয় পর্যটনস্থল বান্দরবানে গিয়ে নেশা করা থেকে শুরু করে পর্যটকদের মারধর, অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে জানা যায়, নোবেল তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন সেখানে। উঠছে পরকীয়ার অভিযোগও।
গত বুধবার ‘সারেগামাপা’ খ্যাত নোবেল নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, জঙ্গুলে নদীর উপর একটি পাথরে বসে রয়েছেন নোবেল এবং তাঁর সঙ্গিনী। নোবেলের হাতে গাঁজার কলকে। ক্যাপশনে লিখেছেন সে দেশের জনপ্রিয় এক গানের কলি, ‘গাঁজার নৌকা পাহাড়তলি যায়/ও মিরাবাই।’ জানা যায়, বান্দরবানের যাওয়ার আগে বাসস্ট্যান্ড থেকেই বেসামাল ছিলেন নোবেল। তার পর এক রেলওয়ে স্টেশনের পাশে গার্ডেন সিটি নামের একটি হোটেলে ওঠেন তাঁরা। অভিযোগ, রাতের বেলা গায়ক হোটেলের আবাসিকদের মারধর করেন। মত্ত অবস্থায় চিৎকার করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে রাত ৩টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ হোটেল ছেড়ে দেন নোবেল ও তাঁর সঙ্গিনী। হোটেল মালিকের কথা থেকে জানা যায়, সেখানে তাঁরা নিজেদের ‘দম্পতি’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন এই ঘটনার পর। নোবেলের পোস্ট করা ছবি থেকে শুরু করে হোটেলের কিছু ছবি শেয়ার করে তিনি প্রশাসনকে নোবেলের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলেছেন।
গত ২৮ জুন ফেসবুক পোস্টে নোবেল জানিয়েছিলেন, তাঁদের জীবনে নতুন অতিথি আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লিখেছিলেন, ‘হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমার এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’ তার পরেই স্ত্রী সালসাবিল ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়ে দেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন এবং এ বিষয়ে নোবেলের সঙ্গে তাঁর কোনও রকম কথাবার্তাও হয়নি। নিজের নতুন গানের প্রচারের জন্যই নোবেল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। নোবেলের উপর ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “মাতৃত্বের মতো একটি সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে মজা করাটা অপরাধ। আমার কাছের মানুষ এমন কিছু করে থাকলে আমি খুবই লজ্জিত।’’
খুলনা গেজেট/কেএম