খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

গরম মশলা জৌলুস হারাচ্ছে এবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তাহ দুয়েক পর মুসলিম উম্মাহ’র ঈদ-উল আযহা। কোরবানীর দুই সপ্তাহ আগেই প্রস্তুতির ধুম পড়ে যায়। তবে বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে এবারে স্থবির জীবনযাত্রা, স্তব্ধ অর্থনীতি। সে কারণে কোরবানীর অগ্রিম প্রভাব এখনো পড়েনি কেনাকাটায়। প্রতিবছরের বিপরীত চিত্র এবার গরম মশলায়। উল্টো মূল্য হ্রাসের মধ্যদিয়ে জৌলুস বাঙালীর রসনা বিলাসের অতিপ্রয়োজনীয় এ উপকরণটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগীয় শহর খুলনার সর্ববৃহৎ মোকাম বড় বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে গরম মশলার মূল্য হ্রাস চিত্র।

ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যমতে, প্রতি কেজি এলাচ ২৮০০ থেকে তিন হাজার টাকায়, লবঙ্গ ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০টাকায়, গোল মরিচ ৫০০টাকায়, দারুচিনি ৪০০টাকায়, কালো জিরা ৩০০ থেকে ৩৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহ থেকে চলতি সপ্তাহে এসব রন্ধন উপকরণের মূল্য বেশ কমেছে।

বড় বাজারের গোধুলি স্টোরের মালিক মোঃ নাসিম উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে এলাচ কেজি প্রতি ৪ হাজার ২০০টাকায় বিক্রি হয়েছে। এসপ্তাহে বিক্রি করছি ২৮০০টাকা। ক্রেতা শুণ্য মশলার বাজার। এভাবে প্রতিটি মশলার দাম কমেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি আদা (দেশী) ১৮০টাকা ও বিদেশী আদা ১৫০ থেকে ১৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শুকনো মরিচ ২৫০ থেকে ২৬০টাকা, দেশীয় পেঁয়াজ ৩৫টাকা, আমদানীকৃত পেয়াজ ২৩টাকা, সয়াবিন (খোলা) ৮৬টাকা এবং সরিষার তেল ১৩০ থেকে ১৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ঈদে মিষ্টান্ন থাকবে না তা কি হয়? এবারে সেমাই, লাচ্চা, চিনি ও কিচমিচের মূল্যও বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকালের বাজারে কিচমিচ ৩০০ থেকে ৪০০টাকা কেজি, চিনি ৬০টাকা, লাচ্চা ১২০ থেকে ১৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বড় বাজারের পাইকারী বিক্রেতা মোঃ সাহাবুদ্দিন বললেন, দুপুর ১২টার সময় একজন ক্রেতার কাছে প্রথম কেনাচেনা করলাম। এ অবস্থায় জিনিসপত্রের দাম তো কমবেই। এবারের কোরবানীর বাজারে মশলা, সেমাই, চিনিসহ ঈদের খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়বে না।

গোশতে স্বাদ বৃদ্ধি করতে খুলনা অঞ্চলের বহুল ব্যবহৃত চুইঝালের মূল্য এখন হাতের নাগালেই। প্রকার ভেদে ৪০০ থেকে ৬০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ভাল মানের চুইঝাল। এছাড়া চিকন (চুইঝাল) ডালের কেজি ২০০ থেকে ৪০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি স্কুল শিক্ষক ফাতেমা-তুজ জোহরা বললেন, করোনার কারণে কোরবানী দেয়া মানুষের সংখ্যা এবার কমতে পারে। কর্মহীন মানুষ এমনিতেই আর্থিক সংকটে। কোন রকম দিন কাটাচ্ছি, এরমধ্যে মশলার খুব বেশি দরকার হচ্ছে।

খুলনা জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম তরফদার বলেন, বাজারে সকল প্রকার মশলার দাম হটাৎ করেই কমে গেছে। ক্রেতা শুণ্য অবস্থা। এতে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিগত বছরগুলোর কোরবানী বাজার থেকে এবারে সম্পুর্ণ বিপরীত। এবার মশলা জাতীয় কোন পন্যের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। করোনার কারণেই জৌলুস হারিয়েছে গরম মশলা।
তিনি আরও বললেন, মানুষের ক্রম সক্ষমতা ও চাহিদা কমেছে। করোনা পরবর্তী সময়ে পন্য-দ্রব্যের দাম আরও কমতে পারে।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!