খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

গবেষণায় অনুদান পেলেন নোবিপ্রবির ১১ শিক্ষক

গেজেট ডেস্ক

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১১ জন শিক্ষক ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গবেষণা অনুদান পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উপ-সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’ খাত থেকে এই বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়া হবে। ৬৮২টি গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের জন্য নির্বাচিতদের তালিকাও বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে।

নোবিপ্রবিতে ১১ শিক্ষক যৌথভাবে গবেষণার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মনোনীতরা প্রতিটি গবেষণার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে দুই, আড়াই, তিন, চার ও পাঁচ লাখ টাকা করে পাবেন।

গবেষণায় অনুদান পাওয়া ১১ শিক্ষক হলেন অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. শফিকুল ইসলাম, অ্যাপ্লাইড ম্যাথ বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. হানিফ, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ সাহা, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাকেবুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. শ্যামল কুমার পাল, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকার, এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মুহিনুজ্জামান এবং ওশেনোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক নাজমুস সাকিব খান।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের শিক্ষকরা এগিয়ে যাচ্ছেন। নোবিপ্রবি গবেষণায় দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। আশা করি আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। প্রতি বছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ ছয়টি গ্রুপে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ দেওয়াই এই ফেলোশিপের মূল উদ্দেশ্য।

ভৌত, জৈব ও অজৈব বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, নবায়নযোগ্য শক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ন্যানোটেকনোলজি, জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এসব বিষয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপে আবেদন করা যায়। সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে ফেলোশিপের দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। ফেলোশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা, বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল প্রকাশনার সুযোগ থাকে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!