খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

গণতান্ত্রিক সমাজ ও গণমাধ্যম

গৌরাঙ্গ নন্দী

অধুনা বহুল আলোচিত-ব্যবহৃত শব্দটি বোধকরি গণতন্ত্র। যে শব্দটির গুণবাচক শব্দ বা বিশেষণ – ‘গণতান্ত্রিক’ শব্দটির সঙ্গে সমাজ শব্দটি জুড়ে দিয়ে আমরা ‘গণতান্ত্রিক সমাজ’-এর আশা-আকাক্সক্ষা-প্রত্যাশার কথা বলে থাকি। আমাদের স্বাভাবিক প্রত্যাশা গণতান্ত্রিক অবস্থা, পরিপূরক সমাজ; প্রকৃতপক্ষে এমন একটি সমাজ বা শাসন-ব্যবস্থা যেখানে সকল মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

গণতন্ত্র শব্দটির সঙ্গায়ও বলা হচ্ছে, কোনও জাতিরাষ্ট্রের (হতে পারে কোন একটি সংগঠন) এমন একটি শাসন/পরিচালন ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের অংশগ্রহণ থাকে। এই অংশগ্রহণটি প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় বলে ধরে নেয়া হয়, বা বলা হয়ে থাকে। মনে রাখা প্রয়োজন যে, গণতন্ত্র শব্দটি সাধারণভাবে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রমিক ইউনিয়ন, রাষ্ট্রীয়-মালিকানাধীন কোন প্রতিষ্ঠান বা যেকোন একটি ছোট সামাজিক প্রতিষ্ঠানও হতে পারে।

বাংলায় ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি ইংরেজি ডেমোক্রেসি শব্দ থেকে এসেছে। এই ইংরেজি শব্দটি আবার এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘জনগণের শাসন’। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে অ্যাথেন্স ও অন্যান্য গ্রিক নগররাষ্ট্রে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝাতে শব্দটির প্রথম ব্যবহৃত হয়। এথেন্স-এর নগর-রাষ্ট্রের অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়াটিকেই গণতন্ত্র বলে আখ্যা দেয়া হয়েছিল। সময়ের ব্যবধানে এই শব্দটির বহুল চর্চা হয়েছে, যা আব্রাহাম লিঙ্কনের গেটিসবার্গে বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়। তার ভাষায় গণতন্ত্র হচ্ছে, জনগণের অংশগ্রহণ, জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্য। অধ্যাপক গেটেলের মতে, ‘যে শাসন ব্যবস্থায় জনগণ সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগে অংশ নেওয়ার অধিকারী, তাই গণতন্ত্র।’

পাঠক ভাবতে পারেন, আমি কি গণতন্ত্রের তাত্ত্বিক পাঠ বুঝানোর ঝাঁপি খুলে বসেছি? মোটেই তা নয়, গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কাঠামোর সাথে গণমাধ্যমের একটি সম্পর্ক রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গণতান্ত্রিক সমাজ বিকাশের সাথে গণ-মাধ্যম বিকাশের অত্যন্ত গূঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। আমরা যে সময়টি অতিক্রম করছি, সেই সময়টিতে, অর্থাৎ বর্তমানে গণ-মাধ্যমের অবস্থাটি ভালো নয়। শুধুমাত্র আমাদের দেশ নয়, গোটা বিশ্বজুড়েই। গণ-মাধ্যমের যাত্রা-লগ্নে অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই আমি এই ‘ভালো নেই’ শব্দ দুটো ব্যবহার করেছি। এরই মাঝে নাগরিক সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটেছে। শুরুতে ছিল শুধুমাত্র মূদ্রণ মাধ্যম, পরে যোগ হ’ল ইলেকট্রনিক মাধ্যম এবং এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব প্রভৃতি। গণমাধ্যমের যখন বিস্তার ঘটছে, তখন ‘ভালো নেই’ শব্দটি ব্যবহার করা কি যুক্তিযুক্ত? বিষয়টি তর্ক-সাপেক্ষ। খুলনা থেকে পরিচালিত অন-লাইন সংবাদপত্র খুলনা গেজেট-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনাটির অবতারণা, তাই গণতন্ত্র সম্পর্কে সকলের জানা কথাগুলো শুরুতে বলে নিলাম।

প্রকৃতপক্ষে, ইউরোপীয়রা ব্যক্তি-স্বাধীনতাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজের ভাবনার বিকাশ ও বাস্তবায়ন করে। ধনী-ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ছিল এই সমাজের উদ্যোক্তা। রাজনৈতিক পরিভাষায় এই গোষ্ঠীকে বুর্জোয়া নামে অভিহিত করা হয়। সাধারণভাবে, বুর্জোয়ারা বা তাদের প্রতিনিধি শাসক গোষ্ঠী যাতে অতি কঠোর হয়ে উঠতে না পারে, জনগণকে সেবার পরিবর্তে খবরদারি বা কর্তৃত্ববাদিতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে না পারে, এ কারণে ভারসাম্য বজায় রাখতে তারা সমাজে কতকগুলো স্বাধীন, স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিল। এরমধ্যে প্রধানতম তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। আইন বিভাগ বা আইন প্রণেতা, যারা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন, সেই অর্থে জনগণের প্রতিনিধি, তারা আইন তৈরি করবে; বিচার বিভাগ সেই আইনের ভিত্তিতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং নির্বাহী বিভাগ প্রণীত আইনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা (শাসন) করবে। সবকিছুই হবে জনগণকে সামনে-কেন্দ্রে রেখে, জনগণের কল্যাণের কথা বিবেচনায় রেখে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের বাইরে তৈরি হয়, সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম। এ কারণে সংবাদপত্রকে চতুর্থ স্তম্ভ বা ফোর্থ স্টেটও বলা হয়।

সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের কাজটি কি? এক কথায়, জনগণের মুখপাত্র হিসেবে সত্য তথ্য উন্মোচন ও প্রকাশ করা। যে কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে গণমাধ্যম প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে। জনগণের বিপক্ষে যায়, এমন কাজ হলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা; বিশেষত: শাসক গোষ্ঠীকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা। সেখানে নির্বাচিত জন-প্রতিনিধিদের কর্মকান্ডের চুলচেরা সমালোচনা করার অধিকার গণ-মাধ্যমের রয়েছে। শাসকদের নেওয়া সকল পদক্ষেপ বিশ্লেষণ-আলোচনা-সমালোচনা করার সুযোগ বা অধিকার স্বীকৃত হয়েছিল, যা এখনও কোথাও কোথাও আছে। আর চূড়ান্তভাবে শাসকদের কাজকে মূল্যায়নের ভার জনগণের কাছে সমর্পিত করার পদক্ষেপ হিসেবে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মতামত নেওয়ার প্রথা হিসেবে নির্বাচন বা ভোট গ্রহণ পদ্ধতি চালু হয়।

ইউরোপীয় সমাজে এসব কিছুর চর্চা হয়েছিল বা এখনও কিছু চর্চা হচ্ছে। তবে অনেক দেশেই নির্বাহী বিভাগ অনেক বেশী কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে, অনেক দেশে বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে; আর ভোট-গ্রহণ বিষয়টি, যা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠেছিল, তা নিয়ে দেশে দেশে নানান কথা উঠছে। এই কথাগুলির সারবত্তা কম-বেশী একই রকম, তা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকতে শাসকরা ভোট বা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। জনগণকে স্বাধীনভাবে ভোট-প্রদানে বাধা দিচ্ছে, ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে বিরোধী ভোটারদের লাগামছাড়া হয়রানি করা হচ্ছে। অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন বাধা, পাল্টা বাধা, সংঘর্ষ প্রভৃতির জেরে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃতপক্ষে, দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক রীতি অনুসরণকারী দেশেও নির্বাচনী ফলাফল নিজ বা নিজেদের পক্ষে না এলে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। যেমনটি আমরা দেখেছি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার নির্বাচনে হেরে গেলে তার সমর্থকরা ক্যাপিটল হিল-এ আক্রমণ করেছে। অবশ্য, নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংকট তুলনামূলকভাবে অনুন্নত দেশগুলোতে বেশী।

বিব্রতকর অবস্থাটি হচ্ছে, গণ-মাধ্যম এখানে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছে না বা করছে না। অনেক ক্ষেত্রেই গণ-মাধ্যম দল-নিরপেক্ষভাবে জনগণের সত্যিকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। গণ-মাধ্যম বিশেষ বিশেষ গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করছে। অবশ্য, এটিও ঠিক যে, গণ-মাধ্যম নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে লড়াই করে চলেছে। এই সংকট এক এক দেশে এক এক রকম। উন্নত দেশগুলোতে গণ-মাধ্যমের সংকট প্রধানত: উন্নত প্রযুক্তির সাথে প্রিন্ট মাধ্যমের টিকে থাকার সংকট। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি’র মতো একটি বহুল আলোচিত ও বিশেষায়িত পত্রিকা কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাদের এক বিশাল কর্মী-বাহিনী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে। খরচ সাশ্রয়ের জন্য বিবিসি বাংলা’র বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। আছে অন-লাইন পোর্টাল। কারণ, তারা টিকে থাকতে পারছে না, আয় কমে গেছে। অনেক নামী-দামী-প্রভাবশালী পত্রিকা নিজেদের অন-লাইন ভার্সনে গিয়ে টিকে থাকার লড়াই করছে। দুনিয়া জুড়ে প্রিন্ট-মিডিয়া কোন না কোনভাবে হোঁচট খাচ্ছে।

আমাদের দেশেও সংবাদপত্রগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। এই লড়াই প্রধানত: নিজেদের আয় ধরে রাখা ও টিকে থাকার সংগ্রাম। এ কারণে সত্যিকারভাবে সংবাদপত্র ওয়াচ-ডগ-এর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, প্রতিষ্ঠানের বিরাগভাজন হয়ে অনেকেই তাদের রাজস্ব আয়ের উৎস হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি নিতে পারছে না। এ কারণে অদ্ভুত এক ‘প্রশংসা-সূচক’ সাংবাদিকতা শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক মাধ্যমগুলোও ঘটনা-নির্ভর খবর পরিবেশন করছে; তাই সেটি কোন প্রতিষ্ঠান বা বিভাগের নিজস্ব কোন কার্যক্রম হলেও। নিজস্ব বা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা একেবারেই হারিয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে শুরু হয়েছে, ইন্টারনেটভিত্তিক অন-লাইন সাংবাদিকতা।

দেশে এখন বিপুল সংখ্যায় অন-লাইন নিউজ-পোর্টাল। সরকার এগুলো রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার চেষ্টা করে চলেছে। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে, অন-লাইন নিউজপোর্টালের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, কমছে না। অন-লাইন নিউজ-পোর্টাল বাড়ুক। একজন পেশাজীবী সাংবাদিক হিসেবে আমি চাই, এগুলো সত্যিকার অর্থে গণ-মাধ্যম হয়ে উঠুক। এখানে কর্মরতরা পেশাজীবী হিসেবে তাদের বেতন-ভাতা-পারিতোষিক পাক। দু:খজনক হলেও সত্যি, মূদ্রণ-মাধ্যমেও পেশাজীবীরা দুর্ভোগে আছেন। আর নতুনভাবে গড়ে ওঠা এসব নিউজ পোর্টালগুলো-ত কোন নিয়ম-নীতির ধার ধারছে না। বিশেষত: ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষায় এসব নিউজ-পোর্টাল গড়ে উঠছে, যার মধ্যে দিয়ে সাংবাদিকতার অঙ্গীকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের পরিবর্তে নিজের ক্ষমতা ও সুবিধা গ্রহণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ-মাধ্যমের দায় ও দায়িত্ব দুটোই খর্ব হচ্ছে, সমাজে ভুল বার্তা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুন নিউজ-পোর্টাল হিসেবে ’খুলনা গেজেট’ এক উজ্জ্বলতম ব্যতিক্রম। তাদের এক ঝাঁক তরুণ পেশাদার সাংবাদিক রয়েছে। পাশাপাশি সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রেও তারা যথেষ্ট সচেতন।

সাংবাদিকতার মান এবং নাগরিকদের বিড়ম্বনার ক্ষেত্র আর একটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। সাধারণভাবে ফেসবুক। যে কোন ঘটনা, যে কেউ সরাসরি প্রচার করছে, ছবিতে কারসাজি করছে, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার ক্ষুন্ন করছে। আবার রাজনৈতিক দল বা কোন গোষ্ঠী তাদের প্রচারের মাধ্যম হিসেবে এটি ব্যবহার করছে। ব্যবসায়ীরা পণ্যের প্রচারকাজেও এটি ব্যবহার করছে। গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ ও তার প্রতিষ্ঠানগত মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে সর্বোপরি জনগণের স্বাধীন ও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বিকাশে রাষ্ট্র ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর যে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল; তা ব্যাহত হচ্ছে। রাষ্ট্র হয়ে উঠছে অনেক শক্তিশালী, সরকার হয়ে উঠছে কর্তৃত্ববাদী, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে দুর্বল, গণমাধ্যম হয়ে উঠছে গোষ্ঠীতন্ত্রের বাহক, আর জনগণ হচ্ছে দুর্বলতর। অথচ জনগণই শক্তিশালী হওয়ার কথা এবং জনগণের জন্যেই প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব পালন করার কথা।

লেখক : সাংবাদিক ও গবেষক।

খুলনা গেজেট/এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!