খুলনায় নিরালা -২ নামে খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজায় কেডিএ কর্তৃক একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজায় কেডিএ কর্তৃক উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এ ধরণের দুর্নীতি, অনিয়ম ও জনভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরেন উক্ত মৌজা সমূহের ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ (৫১ সদস্য বিশিষ্ট)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজার ভূমিরক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী, উক্ত মৌজা সমূহের ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সেলিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
ভূমি রক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী বলেন, বিগত ২৪ আগস্ট খুলনা গেজেট (অনলাইন) ও ২৫ আগস্ট দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, বিষয়ে উল্লেখিত মৌজা সমূহে কেডিএ কর্তৃক নিরালা -২ নামে একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে।
কেডিএর ওয়েবসাইট অনুযায়ী (১) সোনাডাঙা আ/এ ১ম পর্যায় ১৯৬৭-১৯৭৯ সনে (২) সোনাডাঙা আ/এ ২য় পর্যায় ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৪ সনে (৩) সোনাডাঙা আ/এ (স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য) ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সনে (৪) নিরালা আ/এ ১৯৯৪-১৯৯৭ সনে (৫) মুজগুন্নি আ/এ ১৯৬৬-১৯৮২ সনে (৬) শিরোমণি আ/এ (স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য) ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সনে (৭) মিরের ডাঙা আ/এ ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সনে (৮) নিবিড় আ/এ ২০০৪ থেকে ২০০৭ সনে (৯) দৌলতপুর আ/এ ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সনে এবং (১০) অতি সম্প্রতি শেষ হয় ময়ুরী আবাসিক এলাকা।
উপরোক্ত আ/এ সমূহের মধ্যে সোনাডাঙা আ/এ ১ম পর্যায়ে গড়ে উঠতে ১৩ বছর, সোনাডাঙা আ /এ ২য় পর্যায় গড়ে উঠতে ৮ বছর ও মুজগুন্নি আ/এ গড়ে উঠতে ১৭ বছর সময় লেগেছে। আবাসিক এলাকা সমূহের মধ্যে সোনাডাঙা আ/এ ( স্বপ্ল আয়ের লোকদের জন্য) প্রকল্পে প্রায় ৪০ শতাংশ, নিরালা আ/এ প্রকল্পে প্রায় ২৫ শতাংশ, মুজগুন্নি আ/এ প্রকল্পে প্রায় ৩০ শতাংশ, এছাড়া শিরোমণি, নিবিড়, দৌলতপুর ও মিরের ডাঙা আ/এ সমূহে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি প্লট ফাঁকা পড়ে আছে। আরও উল্লেখ্য যে, ময়ূরী আ/এ প্রকল্পে একটি বাড়িও নির্মিত হয় নাই।
যা থেকে ধারণা পাওয়া যায় খুলনা শহরে আবাসন সংকট প্রকট নয়। এতসবের পরেও কেডিএ কর্তৃক খোলাবাড়িয়া, ডুবি ও হরিণটানা মৌজায় নিরালা আ/এ -২ নামে একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা অত্র মৌজা সমূহে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষদের গৃহহীন করারই নামান্তর। অত্র এলাকায় আ/এ গড়ে তোলা হলে এ অঞ্চলে বসবাসরত ২/৩ ও ৪ কাঠা জমির মালিকগণ প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের অর্থে বর্তমানে বিদ্যমান পরিবেশে আর কোন মাথা গোঁজার ঠাঁই গড়তে না পেরে গৃহহীন হয়ে পড়বে।
যার একটি ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব অত্র এলাকার সমাজ জীবনে পড়তে বাধ্য হবে। সেকারণে কেডিএ’র এই উদ্যোগকে কেবলমাত্র নিজস্ব ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া সেবামূলক বা অন্য কোন বিষয় হিসাবে গন্য করা যায় না বলে জানান খোলা বাড়িয়া ও ডুবি মৌজার ভূমিরক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী।