খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

খুলনা-৪ আসনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার অভিযোগ করলেন দারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা- ৪ এলাকার তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়ায় পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এসব অভিযোগ করেন।

নিজেকে আওয়ামী লীগের পরিবারের সদস্য দাবি করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারা প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এখন তাদের হাতেই আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হামলা, মারধর ও হুমকির শিকার হচ্ছে। কিন্ত প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি এসব ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও বিচারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে খুলনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোত্তর্জা রশিদী অভিযোগ করে বলেন, নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদীর কর্মী, স্থানীয় কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের হুমকি ও ভয়ভীতিকে অনেকে ভোট দিতে যাননি। ফলে ভোটের হার কম হয়েছে। এখন নির্বাচনী এলাকাগুলো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এই প্রার্থী বলেন, খুলনা-৪ নির্বাচনী এলাকায় অর্ধশতাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। হামলার শিকার হয়েছেন তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহে মোহাম্মদ এসকেন্দার শেখ, অজগড়ায় মো. আব্দুস কুদ্দুস তালুকদার, তার মেয়ে শিল্পী বেগম, শেখপুরার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নওয়াব আলী, কুমিরডাঙ্গা শেখ কাইস জামান, কোদলার হাসান শেখ, পানতিতার সোনিয়া আক্তার, রূপসা তিলকের দেবপ্রসাদ কুন্ডু, আইচগাতীর তপু, সোহেল রানা, সেলিনা বেগম, ইলাইপুরের বাপ্পারাজ শেখ, ইমরান, খায়রুল হাওলাদার, মামুন, শ্রীফলতলার আসাদ হাওলাদার। দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাটের মো. শাকিল, লিটন শেখ, মাজাহারুল ইসলাম, মো. সফিকুল ইসলাম, অলোক পাত্রও মিলন মিশ্রসসহ অর্ধশতাধিক কর্মী। যারা সকলেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অথচ স্থানীয় পুলিশ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দল ও দলের কর্মীদের রক্ষায় জন্য তিনি দাবি জানান।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দারা আরো বলেন, নির্বাচনী এলাকাটিতে অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে না। নৌকার মাঝিদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। চাষাবাদ করতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এমন অবস্থা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষক লীগ জেলা সভাপতি অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ূন কবির বরি উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!