খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর হাজী মহসিন রোডের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় খুলনা বিভাগের সকল জেলা ও মহানগর বিএনপিকে শক্তিশালী ও সাংগঠনিক শক্তি মজবুত এবং ঐক্যবদ্ধ করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমানকে প্রধান করে খুলনা বিভাগীয় টিম গঠন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সময়োচিত ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য খুলনা বিএনপির রাজপথের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, যে লক্ষ্য ও আশা পুরণ করতে তারেক রহমান নতুন সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রনেতা আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে গঠিত টিম সে আশা পূরণ করতে পারবে। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নবগঠিত টিম প্রধানসহ সকলকে অভিনন্দন জানান।
সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, তিন বছর বর্তমান কমিটি দল পুনর্গঠন, দলের শক্তি বৃদ্ধি, আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ট ভূমিকা ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টিসহ বিএনপির মাটিখ্যাত খুলনার জনগনের প্রত্যাশা পুরণে ব্যর্থ হয়েছে। বরং দলীয় শৃঙ্খলাহীন বিভক্ত নেতৃত্ব, নেতৃবৃন্দের অসম্মানজনক পদক্ষেপ সর্বোপরি সুস্থ রাজনীতিহীন বাণিজ্যিক দলে পরিণত করেছে ঐতিহ্যবাহি খুলনা বিএনপিকে।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনার বর্তমান নেতৃত্ব দুর্বৃত্তদের তোষণ, দল গঠনে স্বেচ্ছাচারিতা, আওয়ামী দোসরদের অনুপ্রবেশের উৎসাহ প্রদান, আর্থিক লেনদেন ও অনৈতিক কর্মকান্ড ঐতিহ্যবাহি খুলনার জনপ্রিয় দলকে জনগনের সামনে হীন ও অসম্মানিত করেছে। এজন্য তাদের প্রতি শক্ত সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সভায় তিন মাসের জন্য গঠিত খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি তিন বছরে সফল কমিটি গঠন করে সম্মেলন করতে না পারা, গত দেড়মাসে তড়িঘড়ি করে ৩১ ওয়ার্ড কমিটি গঠন, নিজেদের পছন্দমত কাউন্সিলর তৈরী, আন্দোলন সংগ্রামের জেলখাটা নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আজ্ঞাবহদের দিয়ে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আহবায়ক কমিটি গঠনের নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে অবিলম্বে নিয়মবহির্ভূতভাবে গঠিত সকল কমিটি বাতিল করে নতুন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করার আহবান জানানো হয়।
সভায় ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর খুলনা মহানগর ও জেলায় চাঁদাবাজি, লুট, টেন্ডার ছিনতাই, আওয়ামী দোসরদের ব্যবসা লিখে নেয়া, ঘের লুট, ট্রেড ইউনিয়ন ও মালিক সমিতি এবং বড় বড় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে আওয়ামী রাঘব বোয়ালদের রক্ষা ও আমলা বাণিজ্যকারীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী তদন্ত দল গঠন ও তদন্তের মাধ্যমে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দলের সুনাম ও ইমেজ পুন:রুদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানানো হয়।
সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি শুকরিয়া আদায় করা হয়। সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, আব্দুল জলিল খান কালাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, নিজাম-উর রহমান লালু, সাদিকুর রহমান সবুজ, আনোয়ার হোসেন, গিয়াস উদ্দিন বনি, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, ইউসুফ হারুন মজনু, মজিবর রহমান ফয়েজ, এইচ এম আবু সালেক, ইশহাক তালুকদার, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, তরিকুল্লাহ খান, সরদার রবিউল ইসলাম, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, রফিকুল ইসলাম শুকুর, আব্দুল জব্বার, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, মেহেদী হাসান সোহাগ, হুমায়ুন কবির বাবুল, ওমর ফারুক, আশরাফ হোসেন, মশিউর রহমান খোকন, মনিরুজ্জামান মনির, খান মঈনুল হাসান মিঠু প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/এমএম