খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ডিসিপ্লিনে প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বারের অবৈধ নিয়োগের প্রতিবাদে গতকাল ২৫শে আগস্ট (রবিবার)দুপুরে শিক্ষার্থীরা ডিসিপ্লিনের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নিয়োগটি বাতিলের দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী শিক্ষা ডিসিপ্লিনে প্রভাষক ও অধ্যাপক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষায় চার বছরের অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। অধ্যাপক পদে প্রয়োজনীয় যোগ্যতার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচডি এবং সর্বমোট ১২টি পিআর প্রকাশনার উল্লেখ রয়েছে। তবে, সম্প্রতি শিক্ষা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক পদে জনাব আব্দুল জব্বারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার মূল ডিগ্রিগুলো সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে অর্জিত।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পূর্ববর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে শিক্ষা ডিসিপ্লিনে নিয়োগের জন্য শিক্ষায় বিশেষায়িত ডিগ্রি থাকা আবশ্যক ছিল। অথচ, জনাব আব্দুল জব্বারকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়োগের যোগ্যতা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করে শিক্ষায় স্নাতক ও স্নাতকত্তোর ডিগ্রির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বা এ্যালাইড বিষয় হিসেবে সমাজবিজ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ এবং হতাশ।
রবিবারের প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ডিসিপ্লিনে অবস্থান নেন এবং একটি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পরিচালনা করেন। প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে দাবি জানান, অবৈধ নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা ডিসিপ্লিনের সকল কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা, এবং অফিসিয়াল কার্যক্রম) বন্ধ রাখবেন। কর্মসূচি শুরুর আগে বন্যার্তদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ চার ব্যক্তি পদত্যাগ করায় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।