খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত ডি-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, দাপ্তরিক কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধিতে ডি-নথির ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষাদানের মধ্য দিয়ে সকলকে সনদপত্র দেয়া হচ্ছে। যারা এ পর্যায়ে প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন, সকলেই ডি-নথির বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছেন বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে ডি-নথি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে পুরো সিস্টেমকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ক্ষেত্রে অটোমেশন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হবে।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে সকলকে প্রযুক্তিগত জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নতুন নতুন স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে নিজেদেরকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এতে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রও এগিয়ে যাবে। উপাচার্য আইকিউএসির উদ্যোগে ও আইসিটি সেলের টেকনিক্যাল সহায়তায় এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, ডি-নথি একটি যুগোপযোগী ব্যবস্থাপনা। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে সচরাচর এটি ব্যবহৃত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনে শীঘ্রই ডি-নথির কার্যক্রম শুরু করা হবে। যারা এ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তারা তাদের কর্মদক্ষতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র সনদপত্রের জন্য নয়। প্রশিক্ষণ হতে হবে ফলপ্রসূ। যাতে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ করে তোলা সম্ভব হয় এবং কর্মক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করে নিজেদের কাজকে আরও আধুনিক ও সহজ করা যায়।
আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আলমগীর হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ওয়াসিউল ইসলাম।
প্রশিক্ষক হিসেবে অভিজ্ঞতা ও ডি-নথির চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার মোঃ ফারুক হোসেন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ শারাফাত আলী, অর্থ ও হিসাব বিভাগের সহকারী পরিচালক আসমা বিনতে আলফাজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নূরুল ইসলাম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন ব্যাচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ