খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪

Breaking News

  সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের দেখতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

খুলনা টিটিসি : ১৭টি ট্রেডের প্রশিক্ষণ বন্ধ, দুর্ভোগে চার শতাধিক শিক্ষার্থী

একরামুল হোসেন লিপু

প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও ১৭ টি ট্রেডের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে বিদেশগামীদের প্রাক বহির্গমন ৩ দিনের ওরিয়েন্টেশন কোর্স। সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ফলশ্রুতিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরীর এ প্রতিষ্ঠানটি ক্রমান্বয়ে স্থিমিত হয়ে পড়ছে।

জানা যায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৭ টি ট্রেডে ৪ শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ৫ ট্রেডে ২০ জন করে ১০০ জন, নিয়মিত ৮ টি ট্রেডে ১৪০ জন, দেশ-বিদেশে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ট্রেডে ৮০ জন এবং জাপান ও কোরিয়া ভাষা শিক্ষায় ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি রয়েছে। কর্মবিরতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পূর্নরূপে বন্ধ রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে অস্থিরতা তৈরি হলেও এটি নিরসনে কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী কুয়েট রোডে একই বাউন্ডারির ভেতর পাশাপাশি অবস্থিত খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠান দু’ টিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা টি টি সি ‘তে কর্মচাঞ্চল্য। নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আর খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সুনশান নিরবতা। প্রাণচাঞ্চল্যহীন একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে প্রধান ফটকের সামনে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। কর্মবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানে আসেন নি বলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে জানা যায়।

১৯ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠানের একজন ইন্সট্রাক্টর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সন্ত্রাসী হামলার ইন্ধনদাতা এবং ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামকে দায়ী করছেন প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের একাংশ। সহকর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে কর্মবিরতি পালনকারীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে। এদিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।

বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষনার্থী জানান, প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে ক্লাস করতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। কর্মবিরতির কারণে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে বিদেশে যাওয়ার তারিখ চলে এসেছে কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষ না করায় বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। দ্রুত সংকট নিরসন করে প্রশিক্ষণ শুরুর দাবি জানিয়েছেন তারা।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!