আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী কুয়েট রোডে অবস্থিত খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সটেক্টর মোঃ মারুফ আহমেদের উপর হামলার ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মারুফ আহমেদ নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় দুই জনকে আসামি করা হয়েছে।
মলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় কুয়েট বাইপাস হয়ে রাজাপুর ব্রিজের দিকে রাস্তা দিয়ে হাটাহাটি করছিলাম। রাজাপুর ব্রিজের পার্শ্ববর্তী পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞতানামা দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে আমার কাছে পৌঁছানোর কিছুদূর আগে মোটরসাইকেলের লাইট অফ করে দেয়। এ সময় তারা মোটরসাইকেল থেকে রড দিয়ে আমার বাম পায়ের হাঁটুতে আঘাত করে। রড দিয়ে আঘাতের কারণে আমার হাঁটুর হাড় ভেঙে যায়। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে আমার সহকর্মীরা এসে আমাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
বাদী তার এজাহারে আরো উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের সাথে বিভিন্ন সময় আমি সহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারি সম্পদ নষ্ট, রাষ্ট্রীয় দিবস পালনে বাধা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদান, নারী কেলেঙ্কারিসহ ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিবাদে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। উপরোক্ত বিষয়ের সূত্র ধরে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাতনামা ২ জন ব্যক্তি হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে আমাকে হাড়ভাঙ্গা ও গুরুতর আঘাত করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দীপক মন্ডল খুলনা গেজেটকে বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাদীর সঙ্গে কথা বলেছি। মামলার বিষয়সহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/লিপু