রাজধানীর কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েদী পলাতকের ঘটনার পরপরই খুলনা জেলা কারাগারে বাড়ানো হয়েছে মনিটরিং। কারাগারের অভ্যন্তরে এবং বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বেড়েছে তল্লাশী এবং নজরদারী। জেলা কারাগারের জেলার মো: তারিকুল ইসলাম শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে জেল সুপার মো: ওমর ফারুক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা ও কয়েদী আবু বকর সিদ্দিকী রাজধানীর কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে পালানোর বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছেন কারাগার কতৃপক্ষ। এ ঘটনার পরপরই খুলনা জেলা কারাগারের জেলার তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে জরুরী ব্রিফিং করেন। জেলের ভিতরে তল্লাশী বৃদ্ধি, কারারক্ষীদের নজরদারী বৃদ্ধি, ভিতরে টহল জোরদারসহ কারাগারের বাইরেও মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।
জেলার মো: তারিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কারাগারে ১ হাজার দু’শ ৩৭জন বন্দী রয়েছেন। পাশাপাশি কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ২৪২ জন। এরমধ্যে অবশ্য অনেকে অসুস্থ বা প্রেষণাতে আছেন। তবে পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে বন্দীদের দেখভালের জন্য।
তিনি আরও বলেন, কাশিমপুরের ঘটনার পরপরই কারাগারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্রিফিং করা হয়েছে। নিরাপত্তা আগেই ছিল। এখন শুধু মনিটরিং বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেল সুপার বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে।
উল্লেখ্য, ১৯১২ সালে ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষে খুলনা জেলা কারাগার স্থাপতি হয়। কারাগারে বন্দীদরে ধারণ ক্ষমতা ৬০৮ জন।
খুলনা গেজেট / এনআইআর