খুলনা করোনা হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া আইসিইউতে রয়েছেন ২০ জন।
বুধবার (১৬ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং ৪ জন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এছাড়া হাসপাতালে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ১৩৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেডজোনে ৭০ জন, ইয়ালোজোনে ২১ জন, এইচডিইউতে ২৮ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাটের ফকিরহাটের গাজী মোজাফফর হোসেনের স্ত্রী মজিনা খাতুন (৫৫), বাগেরহাট মোড়লগঞ্জের চিংড়িখালি এলাকার আঃ সালামের স্ত্রী ফারুক তালুকদার (৫৫), মোংলার আঃ কাদেরের স্ত্রী মারুফা বেগম (৪০), খুলনার তেরোখাদার নাজির কাজীর স্ত্রী জুলেখা বেগম (৬৫), রামপালের মৃত শেখ ইশারাত আলীর ছেলে শেখ মোকছেদ আলী (৭০) মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে খুলনা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ইয়োলো জোনে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ২০০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে ।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৫৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাট ৩১ জন, যশোরের ৫ জন, সাতক্ষীরার ৫ জন, ঝিনাইদহের ৬ জন ও নড়াইল জেলার ৪ জন রয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুমেকের পিসিআর মেশিনে মোট নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৭.৩১ শতাংশ।