খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক দলমতের উর্ধ্বে থেকে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির ঐক্য অটুট রাখার আহবান জানিয়েছেন। তিনি গর্ব করে বলেন, গত ৩০ বছরে অনেক ঐতিহ্যের দাবিদার এ সংগঠন। উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, পীর খানজাহান আলী (রহ:) সেতু, মোংলা বন্দরের উন্নয়ন ও ওয়াসা প্রতিষ্ঠার দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। অতএব গর্বিত এ সংগঠনকে রাজনৈতিক দলাদলির উর্ধ্বে রাখতে হবে।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে খুলনার কোনও দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেন, পৌরসভা থেকে পৌর কর্পোরেশন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের অবদান। তিনি আরও বলেন, বাকি উন্নয়ন তৎপরতার মধ্যে খুলনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজ, বঙ্গবন্ধু কলেজ, মহসীন হাইস্কুল, ইকবাল নগর বালিকা বিদ্যালয় ও মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। মোংলা বন্দরের উন্নয়নে পশুর নদীর খননের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয়। খুলনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কৃতিত্বের দাবিদার আওয়ামী লীগ সরকার। মোংলার দীগরাজে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী জুনে সাড়ে ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপস্থাপনায় ছিলেন মহাসচিব শেখ আশরাফুজ্জামান। আলোচনায় অংশ নেন খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নাগরিক নেতা নিজামুর রহমান লালু, শাহীন জামান পণ প্রমুখ।
মহাসচিবের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনাকালীন সময় সীমিত সাধ্যের মধ্যে এক হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ও গত বছর শীতার্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সংগঠনের পক্ষ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, দু:স্থ্য রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা ও বৃহত্তর খুলনায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ১৮ দফা বাস্তবায়নে ৩০ বছর আন্দোলন করছে। তার মধ্যে সাফল্য মাওয়ায় পদ্মা সেতু, মোংলা বন্দরে উন্নয়ন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন, বিভাগীয় স্টেডিয়াম, খুলনা ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। ১৯৮৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নাগরিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির যাত্রা শুরু হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম