খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮

খুলনায় হত‌্যা মামলায় আসা‌মির মৃত্যুদন্ড ‌

নিজস্ব প্রতিবেদক

হত‌্যা মামলায় খুলনার এক‌টি আদালত আসা‌মি জসিম‌কে মৃত্যুদন্ড দি‌য়ে‌ছেন। একইসা‌থে আদালত তা‌কে ৫০ হাজার টাকা জ‌রিমানা ক‌রে‌ছেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসা‌মি পলাতক ছি‌ল।

খুলনার অ‌তি‌রিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদাল‌তের বিচারক এস এম আ‌শিকুর রহমান আজ সকা‌লে এ রায় ঘোষণা ক‌রেন। রা‌য়ের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন ওই আদালতের আইনজীবী সা‌ব্বির আহ‌মেদ।

বাদীর দায়ের করা মামলা থেকে জানা গেছে, নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন হাজী ইসমাঈল লিংক রোড ইসলাম কমিশনার মোড়ের বাসিন্দা হেলাল উদ্দীনের ছেলে। তিনি শেরে বাংলা রোড বিদ্যুত বিতরণ বিভাগ ১ এর সাহায্যকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হেলালের বাড়ির নিচতলায় জনৈক রবিউল ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস ও ঘরের সাথে মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করত।

আসামি জসিম পেশায় একজন রিক্সা চালক ছিলেন। তিনি রবিউলের প্রতিবেশি ছিলেন। ঘটনা ৬ দিন আগে রবিউলের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। জসিম মোবাইল ফোন উদ্ধার করা বাবদ মুদি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৮০০ টাকা নেয়। কিন্তু মোবাইল ফোন উদ্ধার করে না দিয়ে জসিম টালবাহানা শুরু করে দেয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় একটি শালিসীর আয়োজন করে মুদি ব্যবসায়ী রবিউল।

২০১৫ সালের ১৯ মে শালিসীর পর জাহাঙ্গীর হোসেন জসিমকে মোবাইল ফোন চুরির জন্য সন্দেহ ও তাকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলে। এ ঘটনায় জসিম বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ওই দিন বিকেল ৫ টার দিকে জাহাঙ্গীর মুদি দোকান ব্যবসায়ীর বেঞ্চে বসে বাড়ির কাজ দেখাশুনা করছিলেন। আসামি জসিম পেছন থেকে জাহঙ্গীরের গলায় ও ঘড়ে সজরে ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এসময় আসামিকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যায়। পরে জাহাঙ্গীরকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানা একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই জি এম নজরুল ইসলাম ঘাতক জসিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৮ জন আদালতে স্বক্ষ্য প্রদান করেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!