গল্লামারী ও চুকনগরের পর খুলনা জেলায় নতুন করে আরও চারটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গণপূর্ত অধিদপ্তর এ প্রকল্পের কাজ করবে। ইতিমধ্যে জমি নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। দাকোপ, বটিয়াঘাটা এবং ডুমুরিয়া উপজেলায় স্মৃতিসৌধগুলো নির্মাণ হবে।
প্রস্তাবিত নতুন চারটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার জন্য জমি দেখা হয়েছে দাকোপ উপজেলার চালনাবাজার পানখালিতে, বটিয়াঘাটা উপজেলার বাদামতলায়, ডুমুরিয়া উপজেলার মালিকিয়া এবং একই উপজেলার রানাই নামক স্থানে। তবে প্রস্তাবিত স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হলেও সেটা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে গণপূর্ত ও জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পে স্মৃতিসৌধ নির্মাণে সর্বনিন্ম ৬ শতক এবং সর্বোচ্চ ১০ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রত্যেকটি স্মৃতিসৌধের নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা আছে প্রায় ৮০ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে চারটি স্মৃতিসৌধের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে এটি নকশার ওপর ব্যয় পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে দাকোপ উপজেলায় স্মৃতিসৌধের জন্য নির্ধারিত জায়গা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। দুটি পক্ষ পৃথক জমি চিহিৃত করেছেন স্মৃতিসৌধের জন্য। যার ফলে দাকোপের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের স্থান এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। এদিকে বটিয়াঘাটার বাদামতলার জমি অধিগ্রহণ নিয়েও রয়েছে সমস্যা। ডুমুরিয়া উপজেলার দুটি স্মৃতিসৌধ স্থান নির্ধারণ হলেও সেখানে যে পরিমান জায়গা পাওয়া গেছে তা নকশার সাথে সামঞ্জস্য নয়। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা কম এবং জায়গার আকৃতির সাথে সামঞ্জস্য হচ্ছে না।
গণপূর্ত বিভাগ-২ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নাসির উদ্দিন খান বলেন, খুলনার স্মৃতিসৌধ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে জানতে চেয়েছে। জমি জটিলতার নিরসন হলেই এগুলোর দরপত্র আহবান করা হবে। জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় জমি জটিলতার সমস্যা সমাধাণের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/নাফি