খুলনায় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শুরু হবে দুপুরে। সোমবার (১৭ জুলাই) নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজন করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে আসছে নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে সমাবেশমঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, সমাবেশ যাতে সফল না হয় সে জন্য বাধা দেয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় বাস বন্ধ করে দিয়েছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা রোববার (১৬ জুলাই) কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সোমবারও বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, শতবাঁধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে। দুপুর ২ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে। তার আগেই সকাল থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসেছে। মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করছেন। এরপর দুপুরে সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু অভিযোগ করেন, প্রশাসনের কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি জেলা পর্যায়ে বাস বন্ধের চেষ্টা করছে। অথচ সভা-সমাবেশে বাধা দেয়ার দায়িত্ব তাদের না। ইতোমধ্যে আমাদের চারটি সমাবেশ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আমরা করেছি। কোথাও আমাদের সমাবেশে কোনো ঝামেলা হয়নি।
এদিকে সমাবেশ শুরুর আগে নগরীতে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মিরা দলে দলে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে থাকে।
গেজেট/এসজেড