খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট
  রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  জাতীয় পতাকার নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

খুলনায় টিসিবি পণ্যের বরাদ্দ অপ্রতুল, আছে অনিয়মের অভিযোগ (ভিডিও)

সাগর জাহিদুল

খুলনা নগরীতে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির পয়েন্ট বাড়েনি। মাত্র পাঁচ জন ডিলার দিয়ে নগরীর ১৫ লাখ মানুষের চাহিদা মেটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডিলারদের নানা অনিয়মের কথাও জানিয়েছেন ক্রেতারা। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সোমবার নগরীর কয়েকটি স্থান ঘুরে এমনি তথ্য পাওয়া গেছে।

সোমবার খুলনার পাঁচটি পয়েন্টে টিসিবি

র পণ্য বিক্রি হয়। এগুলো হল, নিরালা আর্দশ স্কুল মাঠ, পিপলস জুট মিল কলোনী মাঠ, রেলওয়ে স্কুল মাঠ, প্রি ক্যাডেট স্কুল মাঠ ও বয়রা শ্মশান ঘাট।

সরেজমিনে নিরালা আদর্শ স্কুল মাঠে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। দু’পাশে দু’লাইনে প্রায় তিনশ’ লোক দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে হিরা ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল এর মাধ্যমে পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডিলারের পরিচিত একজন সেখান থেকে ৮ লিটার তেল নিয়ে যায়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন দুই লিটার অধিক তেল দাবি করলে তাকে বলা হয়, “যা দিচ্ছি নেন, নাহলে চলে যান।”

মনোয়ার নামে ষাটোর্ধ্ব এক নারীর অভিয়োগ, “১৫ দিন আগে যখন এরা এখানে পণ্য বিক্রি করতে এসেছিল তখন ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রেখে বলে যে তেল নেই। শুধু চিনি আর ডাল আছে বলে। তখন অনেকে টিসিবির পণ্য ক্রয় না করে ফিরে যায়।”

রেলওয়ে স্কুল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাশের বস্তির রহিমা নামের এক নারী চিৎকার করতে করতে বের হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, পরিচিত ও নেতাদের বেশী করে তেল দেওয়া হয়েছে। ওখানে যাওয়ার পর ডিলারের প্রতিনিধি বলেন, তেল শেষ হয়ে গেছে। অথচ সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পরিচিত লোকদের তেল দেওয়া হচ্ছে।

দোলখোলা রায়পাড়া থেকে সোনাডাঙ্গা প্রি ক্যাডেট স্কুল মঠে গিয়েছিলেন মরিয়ম খাতুন। তিনি জানান, সঠিক স্থান না জানার কারণে তিনি বিভিন্ন স্থান ঘুরে এখানে এসেছেন। এসে দেখেন অনেক ভিড়। তেল বেশী নেই। যা আছে তার পর্যন্ত আর পৌঁছাবে না। তিনি সেখান থেকে ফিরে যান।

অপরদিকে সোনাডাঙ্গা প্রি ক্যাডেট স্কুল মাঠে এসএন এন্ট্রারপ্রাইজের সুপারভাইজার শাহ মোঃ আলমগীর জানান, ২৬ জুলাই থেকে আমরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে গিয়ে মাল বিক্রি করছি। এর আগে আমাদের প্রতিটি গাড়িতে ১ হাজার লিটার তেল দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে আমাদের প্রতিটি গাড়িতে তেল বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ১৫ দিন অন্তর একবার করে তারা মাল পাচ্ছে। যে মাল দেওয়া হচ্ছে তা অপ্রতুল। এ পণ্য দিয়ে সকলের মন রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই সকল ডিলারকে এক যোগে পণ্যের বরাদ্দের জন্য আবেদন করা উচিৎ। কিন্তু সকল ডিলারের এক হওয়া মোটেই সম্ভব নয়।

এব্যাপারে টিসিবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মুঠোফোনে খুলনা গেজেটকে জানান, খুলনায় তালিকাভুক্ত ডিলার রয়েছেন ৫২ জন। ৪৫ টি পয়েন্টে বাই রোটেশন করে বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাল বিক্রি হবে বলে এবার বরাদ্দ কম। এবার ৫ শ লিটার তেল, ৬ শ কেজি চিনি ও ৫ শ কেজি ডাল প্রতিদিন প্রতি ট্রাকে দেওয়া হচ্ছে। রোটেশন করে বিক্রি করার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিদিন একই স্থানে পণ্য বিক্রি করা হলে একজন প্রতিদিন নিবে, সেক্ষেত্রে সকলে কিনতে পারবে না। ট্রাকের পরিমাণ বাড়ানোর কথা প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। নির্দেশ পেলেই ট্রাক ও বরাদ্দ বাড়ানো হবে। মানুষের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এটা দূর করার চেষ্টা চলছে বলে জানান টিসিবির এই কর্মকর্তা।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!