খুলনায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত ও অপর দুইজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও খুলনা করোনা হাসপাতালে ২৪ জুলাই তাদের মৃত্যু হয়। এদিকে গত চব্বিশ ঘণ্টায় খুলনার ল্যাবে আরও ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, ২৪ জুলাই সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু জাহের (৭০) নামে এক করোনা রোগীর মৃত্যুর হয়েছে। তিনি নগরীর টুটপাড়া দিলখোলা রোড এলাকার মৃত ফারুক আহমেদ এর ছেলে। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে তিনি করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিকে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- বাগেরহাটের রায়েন্দা রাজৈর এলাকার মৃত ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে আমির হোসেন হাওলাদার (৫৫) ও নগরীর মিয়াপাড়া এলাকার হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর ছেলে মাসুম চৌধুরি (৬৫)।
খুমেক হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও আইসোলেশন ওয়ার্ডের ফোকাল পার্সন ডা. মিজানুর রহমান জানান, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন বাগেরহাটের আমির হোসেন হাওলাদার। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই সকাল ১১টায় তার মৃত্যু হয়। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ২৪ জুলাই বেলা পৌনে ২টার দিকে মারা গেছেন মিয়াপাড়া এলাকার মাসুম চৌধুরি। তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে দুপুর ১টার দিকে করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উক্ত ব্যক্তির নমুনা নেয়া হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে আরও ৯০ জনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৬৫ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। ২৪ জুলাই তাদের নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে ২৪ জুলাই মোট ২৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ২৭৩টি। এদের মধ্যে মোট ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৬৫ জন খুলনার। এছাড়াও বাগেরহাটের ১১ জন, সাতক্ষীরা ৫ জন, নড়াইলের ৪ জন, যশোরের ৪ জন ও গোপালগঞ্জের একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা গেজেট / বশির / এনআইআর