খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে (ডায়াবেটিস হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিনেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ আগস্ট) রাত থেকে সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮০ জন ।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে নতুন করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জনই খুলনার।
করোনা হাসপাতালের সমন্বয়কারী শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অপু ঘোষ (৪৩) নামের একজন মারা যান। তাঁর বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাট উপজেলায়। গত রোববার বিকেলের দিকে করোনা পজেটিভ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মো. হরমুজ আলী বিশ্বাস (৬২) নামের আরেকজন মারা যান। তাঁর বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলায়। তিনি করোনা পজেটিভ হয়ে ২০ আগস্ট রাতে ভর্তি হয়ে ছিলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে সেলিনা পারভীন (৫৫) নামের এক নারী মারা যান। তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায়। গত ১৩ আগস্ট তিনি করোনা পজেটিভ হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এর আগে বাগেরহাট সদর এলাকার বাসিন্দা হাসেম হাওলাদারের ছেলে আঃ জব্বার হাওলাদার (৫০) করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১২ আগস্ট থেকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ আগস্ট রাত পৌনে ১২টায় তার মৃুত্য হয়। গোপালগঞ্জ এর কাশিয়ানি উপজেলার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের ছেলে লিমন (২৮) করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে ভর্তি হন করোনা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টায় তার মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ ছাড়াল।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২৪ ঘন্টায় আরও ৪০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। সোমবার (২৪ আগস্ট) খুমেকের পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে সোমবার মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১৪৭ টি। এদের মধ্যে মোট ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৩০ জন খুলনার। এছাড়াও খুমেকের ল্যাবে সাতক্ষীরা ৩, বাগেরহাটের ২ যশোরের ৪ ও গোপালগঞ্জে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমবিএইচ / এমএম