খুলনায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত ও অপর চারজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
সোমবার (২৭ জুলাই) খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও খুলনা করোনা হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার ল্যাবে আরও ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, সোমবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবর খান (৫৫) নামে এক করোনা রোগীর মৃত্যুর হয়েছে। তিনি নগরীর টুটপাড়া তালতলা হাসপাতাল রোড এলাকার আমির হামজা খানের ছেলে। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার রাত ১০টা ৫ মিনিট থেকে তিনি করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জের রামনগর এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ শেখ এর ছেলে শেখ আবুল বাশার (৮৫), খুলনার পাইকগাছার কড়াইকাঠি এলাকার মৃত আছির উদ্দিন এর ছেলে আকবর (৭০), বাগেরহাটের কাড়াপাড়া এলাকার মৃত কোনা উদ্দিন এর ছেলে আ: রহমান (৮০) ও নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন সলুয়া বাজার এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান (৭৮)।
খুমেক হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও আইসোলেশন ওয়ার্ডের ফোকাল পার্সন ডা. মিজানুর রহমান জানান, ১৮ জুলাই দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সাতক্ষীরা শেখ আবুল বাশার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল পৌনে ১০ টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পাইকগাছার আকবর ২৫ জুলাই রাত পৌনে ১০টা থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ২টা ৫০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জ্বর শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১১টার পরে ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বাগেরহাটের আ: রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়াও শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়ে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভর্তি হয়েছিলেন আড়ংঘাটার আসাদুজ্জামান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন দিবাগত রাতে তিনি মারা যায়। মৃতরা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে আরও ৮০ জনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। সোমবার তাদের নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে সোমবার মোট ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ১৮৪টি। এদের মধ্যে মোট ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৪৬ জন খুলনার।
এছাড়াও সাতক্ষীরা ২০ জন, বাগেরহাটের ৮ জন, নড়াইলের ৩ জন, যশোরের ১ জন ও ঝিনাইদহের ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমবিএইচ / এমএম