বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি তৈরি করেছে। তাদের ছেড়ে দেয়ার দিন শেষ। সারাদেশে হামলার জবাব দেয়া হবে। আমদের গুলি করে মারবে আর আমরা ভদ্র লোকের মর মার নিবো, আমরা পাল্টা কিছু করবোনা এটাতো হয় না।
বুধবার (১৯ জুলাই) বুধবার বিকাল ৩টায় বিএনপি ঘোষিত নির্দলীয় অন্তর্বরতী সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে খুলনায় পদযাত্রা পুর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে মার খাওয়ার জন্যতো আমাদের জন্ম হয়নি। আমাদের লড়াই গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য। হারিয়ে যাওয়া গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, গণতন্ত্র পুণ:প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। এটা বিএনপির জন্য লড়াই না-এটা ব্যক্তিগত কোন লড়াই না। এ লড়াই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই না। এ লড়াই অবৈধভাবে ক্ষমতা বসে যারা লুটপাট করছে, নারী নির্যাতন করছে, নারী ধর্ষন করছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে তাদেরকে বিতারিত করার জন্য লড়াই। চলমান লড়াইয়ের মাধ্যমে নির্দলিয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং সেই সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুণ:গঠনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে দুষ্টের দমন সৃষ্টের ফলন বলে যে শপথ করেছেন সেটা মনে রেখে কাজ করবেন। আপনারা জনগণের সুখ শান্তি রক্ষা করাই আপনাদের কাজ। কোন দলের হয়ে কাজ করলে পাপের বোঝা যদি ভারী হয়ে যায় তখন কিন্তু পরিনাম ভালো হবে না। বিএনপির আন্দোলন পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে না। বিএনপির আন্দোলন জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য-লুন্ঠিত টাকা ফেরত আনার জন্য-জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। কথায় কথায় মামলা দিয়ে হয়রানী না করার আহবান জানান।
আওয়ামী লীগের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, শান্তির সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। দেশে অরাজকতা করবেন না। অরাজকতা করলে জনগণের হাত থেকে রেহাই পাবেন না। হাসিনা সরকারের বিদায়ে জন্য অচিরেই কঠিন এবং কঠোর কর্মসুচি দেয়া হবে। সেই কর্মসুচি বেশি সময়ের জন্য হবে না। বিএনপির ভদ্র কিন্তু দুর্বল না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত গনতান্ত্রিক যুদ্ধে আমরা জয়ী হবোই। স্বাধীন যুদ্ধের সময় যেভাবে পিস কমিটি করেছিলো রাজাকার আলবদররা, আজকের বাংলাদেশে সেভাবেই একটা পিস কমিটি হয়েছে।
ওবায়দুর কাদেরের নেতৃত্বে গঠিত পিস কমিটি বিএনপির কর্মসুচির দিনেই শান্তি কর্মসুচির নামে অশান্তির কর্মসুচি দেয়। এই পিস কমিটিকে যেনো ৭১ এর মত পালিয়ে যেতে না হয়। আওয়ামী লীগ নোংরা ভাষায় বলা বলা ছাড়া কিছুই জানেন না বলতে থাকেন। কাদের কতটা সাহস বুদ্ধিমত্তা আছে সবই আমাদের জানা আছে। সোজা পথে চলেন, শান্তির পথে চলে, গনতন্ত্র বোঝার চেষ্টা করেন তাহলে আপনারা ভালো থাকবেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলার সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান, বেগমা রেহেনা ইসা, এস এ রহমান, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফাউল বারী, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ রহমান, বদরুল আনাম খান, অধ্যাপক মনিরুল হক, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়বুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শামীম কবীর, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম, শেখ সাদি, মেজবাউল আলম, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আ. রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, তানভিরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, আবু মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিব বিশ্বাস, আহসান উল্লাহ বুলবুল, অ্যাডভোকেট মো. আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিলটন, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, চৌধুরী কাওসার আলী, মোমরেজুল ইসলাম, আবদুল মজিদ, খায়রুল ইসলাম খান, ওয়াহিদ ইমরান, আবদুস সাত্তার, অসিত কুমার সাহা, শাকিল আহমেদ, জি এম রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান লেলিন, মুর্শিদুর রহমান, নাজমুর সাকির, মো. ইকবাল শরীফ, নেহিবুল হাসান নেহিম, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, শফিকুল ইসলাম শাহিন প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ