চলছে বৈশাখের তাপদাহ। বাতাসে আর্দ্রতার আধিক্য থাকায় মানুষ ঘেমে-নেয়ে একাকার। এর মাঝেই এসেছে ঈদ। স্বজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপনে বাড়ি অভিমুখে ছুটছে মানুষ। তীব্র গরমে এই ছোটাছুটিতে শারীরিক কষ্ট বেড়েছে রোজাদারদের। এই সময়টাতে বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগামী চারদিন কালবৈশাখীর ঘনঘটা বাড়বে। অর্থাৎ সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি থাকবে।’
ঈদের দিনও তাপদাহ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বায়ুমণ্ডলে যেহেতু আর্দ্রতার আধিক্য রয়েছে সেহেতু গরমের অনুভূতি থাকবে। তবে সার্বিকভাবে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হয়ে আসবে।’
সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।