খুলনার সরকারি দপ্তরগুলোতে দুর্নীতি বন্ধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়। এরই অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহ থেকে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, পাসপোর্ট, বিআরটিএ, এজি অফিস হিসেবে পরিচিত হিসাব ভবনসহ সেবা খাতের সরকারি সব দপ্তরে স্থাপন করা হবে অভিযোগ বাক্স।
সেবা খাতে হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা মে মাসের ৮ তারিখের মধ্যে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারবেন। এসব অভিযোগ নিয়ে ১০ মে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে গণশুনানি। সেখানে খুলনার সব সরকারি দপ্তরের প্রধানদের উপস্থিতিতে গ্রাহকদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হবে। গুরুতর অভিযোগগুলো পরবর্তীতে সময়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে।
দুদকের খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, সেবা খাতের বিভিন্ন কার্যালয়ে নানাভাবে মানুষ হয়রানির শিকার হন। সরকারি দপ্তরে অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর শোনা যায়। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ না থাকায় প্রতিকার করা সম্ভব হয় না। এসব অনিয়ম বন্ধে বিশেষ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অভিযোগ বাক্স ও আগামী ১০ মে গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা গণশুনানিতে অভিযোগ তুলে ধরতে পারবেন। তিনি জানান, দুদকের একজন কর্মকর্তা গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ করবেন। আগামী ৮ মে পর্যন্ত দুদকের খুলনা জেলা কার্যালয়ে এসেও অভিযোগ জমা দেওয়া যাবে। যাচাই শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সেগুলো তদন্ত হবে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গণশুনানিতে নিয়মিত অনিয়মের বিষয়ে দপ্তরগুলোর প্রধানদের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওই দিন শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি থাকবেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক। এ ছাড়া দুদকের সব মহাপরিচালক সেখানে থাকবেন। খুলনা জেলার সরকারি দপ্তরগুলোর প্রধানদের উপস্থিত থাকতে জরুরি নির্দেশ দেওয়া হবে।
দুদকের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ মানুষ এগিয়ে না এলে দুদকের একার পক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব না। এ জন্য সাধারণ মানুষকে এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টার, মাইকিং, সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। দুদকের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ এইচ