২২অক্টোবর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণ সমাবেশ সফল করতে বাগেরহাটে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত চলছে প্রচার-প্রচারণা। বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করছে নেতাকর্মীরা। সেই সাথে জেলা পর্যায়ে একাধিক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেকোন মূল্যে সমাবেশ সফল করতে বদ্ধপরিকর বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিভাগীয় এই গণ সমাবেশে বাগেরহাট থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহন করবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম।
তিনি বলেন, দুইদিন গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই বলে দেয় বিএনপির পক্ষে সাধারণ মানুষের যে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগ ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু কোনো বাধাতেই আমাদের কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। খুলনা শহরের দূরত্ব বাগেরহাট শহর থেকে মাত্র চল্লিশ কিলোমিটার। প্রয়োজনে এই পথ আমাদের নেতা-কর্মীরা পায়ে হেটে যাবে। শুধু দলীয় নেতাকর্মী নয়, আওয়ামী দুঃশাসন থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষও এই সামাবেশে অংশগ্রহন করবে।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাগেরহাট বিএনপি’র চলমান দুটি গ্রুপ এক হয়ে কাজ শুরু করেছে। কিছুদিন পূর্বেও সাবেক সভাপতি এমএ সালাম ও বর্তমান আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম পৃথক পৃথক ভাবে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও সমাবেশ কেন্দ্র করে বিভাজন ভুলে একই সাথে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। যার ফলে নেতাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, আমরা আগেই ধারনা করেছিলাম, সমাবেশ বানচাল করতে যানবাহন বন্ধ থাকবে। বন্ধের বিষয়টি মাথায় রেখেই নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিছু মানুষ ইতিমধ্যে খুলনায় চলে গেছে। বাকিরা বিকল্প যানবাহন ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খুলনায় যাবে আমাদের নেতাকর্মীরা। এজন্য আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকি বলেন, নসিমন করিমন বন্ধের দাবিতে খুলনা জেলা-বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছে। তবে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত গ্রন করিনি। সভা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।