খুলনাসহ বিভাগের ৮ জেলায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। খুলনা জেলা ও বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন জেলা কার্যালয়ের ৮ টি টিম রোববার (২ মার্চ) এ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ২২ টি প্রতিষ্ঠানকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ভোজ্য তেল, গ্যাস, ঔষধ, ডায়াগনস্টিক, আলু, দেশি পেয়াজ, সবজি, মুরগির বাজার ও ডিমের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে সোনাডাঙ্গা থানার বয়রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব এর নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর বৈকালী বাজার ও চিত্রালী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে আট হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার পৌর ও বড় বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদ এর নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান এর নেতৃত্বে দামুহুডা উপজেলার দর্শনা ও রেল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাসনিমের নেতৃত্বে সদর উপজেলার রেলগেট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা জমিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরএর নেতৃত্বে সদর উপজেলার সুলতানপুর বড় বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান এর নেতৃত্বে সদর ও লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর ও টার্মিনাল বাজারে অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/এএজে