মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় রপ্তানির সময় ৩ টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
রপ্তানির মেয়াদ একদিন অতিক্রম করায় এসব ইলিশ জব্দ করা হয়। এছাড়া ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলারে পাঠানোর কথা থাকলেও ওই ব্যবসায়ী ৬ দশমিক ১ ডলারে ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে চেয়েছিলেন; যা বাংলাদেশি টাকায় ৫২২ টাকা।
সোমবার খুলনার আরিফ সি ফুড দুটি গাড়িতে করে ইলিশগুলো নিয়ে আসে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনার আলোকে ট্রাক ও পিকআপবোঝাই ৩ মেট্রিক টন ইলিশ সীমান্তে আটকে দেয়।
চাতলাপুর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, খুলনার আরিফ সি ফুডের মালিক আরিফ হোসেন ভারতের কৈলাশহরে রপ্তানির জন্য ৩ টন ইলিশ নিয়ে আসেন। তার এক স্থানীয় সিএনএফ এজেন্ট আগেই ৩ অক্টোবর রপ্তানির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরকারি অনুমোদন গ্রহণ করেন। তবে সরকারি নির্দেশনা শুরুর প্রায় ১০ ঘণ্টা পর সোমবার সকালে ইলিশ মাছ নিয়ে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে আসেন আরিফ সি ফুডের মালিক। ফলে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ ট্রাকবোঝাই ইলিশ জব্দ করেন। তাছাড়া ভারতে ১০ ডলারে প্রতি কেজি ইলিশ পাঠানোর কথা থাকলেও ওই ব্যবসায়ী ৬ দশমিক ১ ডলারে ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে চান।
সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম ভারতে রপ্তানিযোগ্য ৩ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ এ মাছ সিলেট কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাবে। ৩ অক্টোবর দিনের মধ্যে যদি এ মাছ চাতলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছত তাহলে বিধি মোতাবেক মাছ ভারতে রপ্তানির সুযোগ ছিল।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টম কর্মকর্তা বাবুল সিংহ জানান, সরকারি নির্দেশনায় ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ওই ব্যবসায়ীর ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ পাঠানোর নির্দেশনা ছিল। আজ ৪ অক্টোবর মেয়াদ নেই।
খুলনা গেজেট/ এস আই