খুলনায় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার বাদী ব্যবসায়ী শেখ শহিদুল ইসলামকে হুমকি-ধামকী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উল্টো বাগেরহাটের চিতলমারী থানায় দায়েরকৃত একটি মারামারির মামলায় শেখ শহিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। খুলনায় মামলা দেওয়ায় এই মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন শেখ শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গত ২৩ এপ্রিল দুপুরের দিকে কয়েকজন যুবক এসে খুলনা যুবলীগের নেতা-কর্মী পরিচয় দিয়ে আমাকে শেখ বাড়িতে শেখ সোহেলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে সোহেল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামানের বিরুদ্ধে হওয়া দুদকের অভিযোগের জন্য ব্যবসায়ী আমাকে দায়ী করেন। ওই অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শেখ সোহেল আমার কাছে ৬০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে বিকেলের মধ্যে ব্যাংক ও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে সোহেলকে ৬০ লাখ টাকা দেই। পরে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় গেল ৩সেপ্টেম্বর আমি শেখ সোহেল ও এলজিইডি খুলনার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মুহাম্মদ আনিছুজ্জামানকেও আসামি করে মামলা দায়ের করি। এই মামলা করার পরে মামলা তুলে নিতে আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকী দিয়ে আসছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
ব্যবসায়ী শেখ শহিদুল ইসলাম আরও বলেন,১৯ সেপ্টেম্বর নওশের কাজী নামের এক ব্যক্তি বাগেরহাটের চিতলমারী থানায় ১৩৪ জনকে আসামি করে একটি মারধরের মামলা দায়ের করেন। শেখ সোহেলের দোসররা ওই মামলায় ষড়যন্ত্র করে আমাকে আসামি দেওয়া হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। মূলত শেখ সোহেলের নামে মামলা দেওয়ায় এই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ঘটনার কোন বিষয় আমি জানি না। হয়রানী করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানাযায়, নওশের কাজী ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রামদা দিয়ে কুপিয়ে কয়েকজনকে গুরুত্বর আহত এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর, একটি ডিসকভার ও একটি প্লাটিনা মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার দাস বলেন, ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক যারা প্রকৃত ঘটনার সাথে জড়িত, শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান তিনি ।
খুলনা গেজেট/এএজে