খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

খুলনায় মসজিদের ইমাম কর্তৃক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার পূর্ব রূপসা রেলস্টেশন জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ জাহিদুর রহমান কর্তৃক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওঃ জাহিদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পূর্ব রূপসায় মসজিদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছি এবং সাথে সাথে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এর ফিল্ড অফিসার হিসেবে চাকুরি করেছি। সেই সুবাদে আমি নিজের এবং আমার মাধ্যমে কিছু গ্রাহকের টাকা নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এ আমানত রেখেছি, এই ইমামতির সুবাদে আমার পূর্ব পরিচিত ও মুসল্লী খাদেমুল ইসলাম, আমার সাথে হালাল পন্থায় কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখার ইচ্ছা পোষণ করে এবং নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য জানতে ইচ্ছা পোষণ করে, তখন আমি তাকে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলি। তিনি খোঁজখবর নিয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এর গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন, তাদের স্বচ্ছতা ও দ্বীনদার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আমানতদারিতায় আশ্বস্ত হয়ে স্বেচ্ছায় নিউ বসুন্ধরায় ১৮ লাখ টাকা রাখতে ইচ্ছা পোষণ করেন এবং নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েক্টেট লিমিটেডের মালিক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সাহেবের সঙ্গে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মালিক এবং গ্রাহক চুক্তিপত্র করে টাকা জমা রাখেন। পরবর্তীতে কয়েক মাস মূল টাকার লভ্যাংশ গ্রহণ করে, কিন্তু হঠাৎ করে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের মালিক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সাহেব দুদকের মামলায় কারাবন্দি হলে লভ্যাংশের টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তখন খাদেমুল এবং তার পরিবার আমাকে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিতে চাপ সৃষ্টি করে, কিন্তু টাকা তো তারা সরাসরি নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে জমা রেখেছে এবং কোম্পানির মালিকের সঙ্গে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর পূর্বক চুক্তিপত্র সম্পাদন করেছে। সুতরাং আমি নিউ বসুন্ধরা লিমিটেডের একজন Fo মাত্র, এখন আমি তাদের টাকা ফেরত দিবো কি করে? তথাপি আমি তাদেরকে বুঝাবার চেষ্টা করেছি এবং নিউ বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে যোগাযোগ রক্ষা করি।

তিনি আরও বলেন, আমি কারো সাথে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করি নাই, আমি হলফ করে বলতে পারি আমি চাই আমার ব্যক্তিগত টাকা এবং আমার গ্রাহকদের জমানো টাকা নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কাছে রাখা আমানত গ্রাহকগণ যথাযথভাবে ফেরত পায় আমি সেই চেষ্টা করছি।

এর জন্য মানববন্ধন করেছি, স্বারকলিপি প্রদান করেছি, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করেছি, তথাপিও তারা আমার নামে ১৮ লাখ টাকার মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করে আমার আর আমার পরিবারকে ভীত সন্ত্রস্ত করছে, আমি এমতাবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আমার এবং আমার পরিবারের জনজীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি এবং গ্রাহকদের এই টাকা ফেরত পেতে ঊর্ধ্বতন মহলের আন্তরিকতার সাথে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রীসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!