খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

খুলনায় অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা, বিমানবন্দর নির্মাণ ও গ্যাস সরবরাহের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪-২০২৫ অর্থ বাজেটে খুলনায় বিমানবন্দর নির্মাণ ও পাইপ লাইনেন গ্যাস সরবরাহে অর্থ বরাদ্দের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহত্তম খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে ঘিরে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে যে বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগাতে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যেই আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন। আমরা মনে করি পদ্মা সেতুর ভীষণ ২০৪১ অর্জনে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। রুপসা-ভৈরব বিধৌত পলি মাটিতে গড়ে উঠেছে খুলনা শহর। উপকূলের বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ এ জেলায় রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের আচল জুড়ে গড়ে উঠেছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা। খুলনারন প্রাকৃতিক এবং ভূ- রাজনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সড়ক, রেল, নৌ এবং সমুদ্রপথে ভারত নেপাল ও ভুটানের সাথে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কের গড়ে তোলার সম্ভব। এই সমুদ্র বন্দর ও সুন্দরবনকে আবর্তিত করেই সমৃদ্ধ হচ্ছে খুলনা উপকূলের অর্থনীতি। সেজন্য খুলনা এবং মংলা অর্থনীতির হাব বা কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাব ও আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। এখন প্রয়োজন ক্ষেত্রে চিহ্নিত করে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। মংলা বন্দরের সুবিধা বৃদ্ধি পর্যটন ও কৃষি সেক্টরসহ সম্ভাবনার সকল দিকে এই অঞ্চলের এখন ভাবনার বিষয়। বাস্তব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার যোগ্য এবং দক্ষতা সম্পন্ন জনবল তৈরি এখন সময়ের দাবি। এর মধ্য দিয়ে খুলনার উন্নয়নের কৃষি শিল্প পর্যটন সহ বিভিন্ন সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব।

১৯৯৬ সালের ২৭ জানুয়ারি রামপাল উপজেলার মোংলা মহাসড়কের পাশে হযরত খানজাহানআলীর বিমানবন্দরের ভিত্তিক স্থাপন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৪৪ সেক্টর জমিতে আংশিক মাটি বরাটের কাজ দিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আরো ১৫০ সেক্টর জমিয়ত গ্রহণ করে টাকা পরিশোধ করা হয়। সর্বমোট ১৯৪ হেক্টর জমি বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারিত থাকলেও খুলনা বিভাগীয় শহর হিসেবে ২৭-২৮ বছরেও এই বিমানবন্দর চালু করা সম্ভব হয়নি । পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের দ্রুততম সময়ে বিনিয়োগের দ্রুততম সময়ে বিনিয়োগে দ্রুততম সময়ে বিনিয়োগকারীদের যাতায়াতের জন্য বিমানবন্দর চালু করা এখন সময়ের দাবি।

এছাড়া খুলনায় বিমানবন্দর নির্মাণ পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ ও অর্থনৈতিক জোট নির্ধারণের দাবিতে আগামী ২৭ মে মঙ্গলবার বেলা (১১টায়) খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!