খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগের ময়লার ভাগাড়ে মিললো ৪৯৫ টি ডিষ্টিল ওয়াটার। তবে হদিস মেলেনি ইনজেকশনের। এ ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তব্যরত নার্স ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইনচার্জ। এদিকে জব্দের সময়ে আউটসোর্সিং কর্মিদের তোপের মুখে পড়েন আনসার সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মিরা। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ হাসপাপাতালের সেবা গ্রহীতারা।
শনিবার (২৩মার্চ) বিকালে খুমেক হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাঃ সুমন রায়ের নেতৃত্বে আনসার সদস্যরা প্রসুতি বিভাগের একটি পরিত্যাক্ত রুমের ময়লার স্তুপ থেকে ৪৯৫ টি ডিস্টিল ওয়াটার জব্দ করেন। যা ছিলো বালিশ দিয়ে চাপা দেওয়া। তবে ডিষ্টিল ওয়াটার জব্দ করা হলেও হদিস মেলেনি ইনজেকশনের। এদিকে জব্দের সময়ে কন্টাক ক্লিনিং সার্ভিসিং’র আউটসোর্সিং কর্মচারি রুমানা ও পাপিয়া তেড়ে আসে আনসার সদস্য ও গণমাধ্যম কর্মিদের দিকে। কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ওয়ার্ডের সাব-ইনচার্জ রন্জু মোহন্ত গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে অসদাচরণ করেন। অথচ এরাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া টিভির সাক্ষাৎকারে থাকেন সানন্দে এগিয়ে।
রন্জু মোহন্ত বলেন, ময়লার ভাড়া থেকে শুধুমাত্র ডিষ্টিল ওয়াটার উদ্ধার হয়েছে। তবে ওখানে কিভাবে আসলো, কবে কে রাখলো , তা কিছুই বলতে পারবো না। তিনি আরও বলেন, আপনাদের ফোন করে যিনি তথ্য দিয়েছেন, তার কাছ থেকে বাকি তথ্য নেন।
ওয়ার্ডের ইনচার্জ সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি সদ্য নিয়েছি, কেউ হ্যান্ড ওভারে আমাকে এই ডিষ্টিল ওয়াটারের ব্যাপারে বলেনি। এখানে কিভাবে আসলো, তাও আমি জানি না।
খুমেকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আগামীকাল( আজ রবিবার) ওয়ার্ড ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকবো। এনিয়ে একটা তদন্ত কমিটি হতে পারে। প্রকৃত অপরাধিকেই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি