খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১৭তম (জরুরি) সভা বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেটের সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
সভায় শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নে ইউজিসি প্রণীত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যুনতম যোগ্যতা নির্ধারনের আলোকে একটি নীতিমালা প্রণয়নপূর্বক সুপারিশ প্রদানে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
আলোচনা শেষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যুগোপযোগী শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়।
সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্য জুম লিংক ও স্ব শরীরে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ডিন ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেটে সদস্য হিসেবে প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সভা শেষে সিন্ডিকেটের সচিব রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির প্রচেষ্টায় দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নে সম্প্রতি যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে যে ন্যুনতম যোগ্যতা নির্ধারণের শর্তাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে তার আলোকে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধিবিধানের আলোকে স্বতন্ত্রভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন, অনুমোদন ও অনুসরণের কথা। এ পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের এই সময়োপযোগী নীতিমালা অনুমোদিত হওয়ায় তা সর্বত্র অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও মানসম্মত বলে বিবেচিত হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যুগোপযোগী এই শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালায় প্রভাষক পদে নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে প্রার্থীর আবেদনের যোগ্যতায় এসএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত ৪টি পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম শ্রেণি (ফোর ফার্স্ট ক্লাস) থাকতে হবে। প্রফেসর হতে হলে পিএইচডি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনুমোদিত এ নীতিমালায় শিক্ষকদের উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় ছুটি গ্রহণের ক্ষেত্রে সুবিধা বেড়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ