খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজী ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম ফিরোজের চুরি যাওয়া ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকাসহ মোঃ টিটন খান (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে হরিণটানা থানা পুলিশ।
মোঃ টিটন খান দিঘলিয়া থানার পানিগাতী পশ্চিমপাড়া এলাকার মোঃ হারুন খানের ছেলে।
কেএমপি’র প্রেসবিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মার্চ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজী ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম ফিরোজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের শাখা হতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচটি এ্যাকাউন্ট হতে সর্বমোট ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে তিনি দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং একাডেমি ভবনে রুম নং-২২৬০ তে তার নিজস্ব রুমে গিয়ে উত্তোলনকৃত ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যাগসহ চেয়ারের উপরে রেখে রুমের বাহিরে করিডরে ওজু করতে যান। অতঃপর আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত ব্যাগের কাছে এসে ব্যাগের চেন খোলা অবস্থায় পান। ব্যাগের ভিতর উঁকি দেখেন ব্যাগে রক্ষিত সমুদয় টাকা গায়েব হয়ে গেছে। তার বুঝতে বাকী থাকে না, ঘটনাটি কি ঘটেছে। অতঃপর তিনি দ্রুততার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখতে যান। সেখানে তিনি সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখতে পান যে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি কিছু একটা নিয়ে দৌড়ে মেইন গেট দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দিশেহারা অবস্থায় আশেপাশে খোঁজ করতে থাকেন। অতঃপর কোন কূল কিনারা না পেয়ে উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে হরিণটানা থানার মামলা নং-১০, তারিখ-১৩/০৩/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড সংক্রান্তে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে কেএমপি’র হরিণটানা থানা পুলিশ একটি চৌকস টিম গঠন করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে থাকে। পরবর্তীতে হরিণটানা থানা পুলিশ সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে পর্যালোচনা করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভ্যাসগত ও পেশাদার চোর চক্রের তথ্য সংগ্রহ করে সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের সাথে একজন ব্যক্তির মিল পেয়ে দিঘলিয়া থানাধীন পানিগাতী গ্রামে স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ টিটন খান (৩৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া নগদ ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী উক্ত চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো বলে স্বীকার করে। টিটন খানকে যথানিয়মে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উক্ত গ্রেফতারকৃত আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যর বিরুদ্ধে ১) খুলনা এর দিঘলিয়া থানার মামলা নং-১১, তারিখ-২৬/০১/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড; ২) খুলনা এর দিঘলিয়া থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৫/১০/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৩৮০/৪৫৭ পেনাল কোড; ৩) খুলনা এর পাইকগাছা থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-১২/০১/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড এবং ৪) বাগেরহাট এর রামপাল থানার মামলা নং-৪, তারিখ-০৫/০৫/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোডে মামলা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম