খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

খু‌বিতে চলছে অঘোষিত মৎস্য প্রতিযোগিতা!

অর্ক মন্ডল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

বাঙালির মৎস্যপ্রীতির কথা কারো অজানা নয়। ভাতের প্রত্যেক গ্রাসে এক টুকরো মাছ না হলে তৃপ্তি পায় না বাঙালি। এজন্যই হয়ত বলে মাছে ভাতে বাঙালি।

মাছের প্রতি এই দূর্বলতার কারণে নদীমাতৃক বঙ্গদেশে বর্ষা ঋতুর আগমন ঘটলেই ছিপ বা জাল হাতে নিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায় মৎস্যপ্রেমীদের। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও এই মৎস্যপ্রেমীদের দেখা মিলেছে কিন্তু সামান্য প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সরকার পতন তারপর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদত্যাগের হিড়িক। ফলশ্রুতিতে প্রশাসনশূন্য বিশ্ববিদ্যালয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। মূলত প্রশাসনের অনুপস্থিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জলাশয় ও পুকুরে তাদের জন্য চাষ করা মাছ শিকার করছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পুকুর ও জলাশয়গুলোতে যে মাছ ছাড়া হয় এবং চাষ করা হয় তা আমাদের টাকায় এবং আমাদের জন্য । এত বছর এখানে পড়ালেখা করছি কিন্তু কোনোদিন মাছ ধরার সাধ্য হয়নি। এই মাছ গুলো কোথায় যায়? কোন খাতে খরচ করা হয় মাছ বিক্রির টাকাগুলো?

অন্যদিকে সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে পালন করা হচ্ছে অঘোষিত এই মৎস্য উৎসব। মৎস্যপ্রেমী শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে বিকাল অব্দি মাছ শিকারে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা ছিপ দিয়ে বড় বড় আকারের রুই, কাতলা, মৃগেল ও কার্প জাতীয় মাছ ধরছেন। অনেকে আবার জাল দিয়েও মাছ শিকার করছেন‌। মোটমাট ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে রিপন মন্ডল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ছোটবেলায় বরশি দিয়ে পুকুরে নদীতে মাছ ধরতাম। এই মাছ ধরার মধ্যে একটা অন্য ধরনের আনন্দ রয়েছে। কার থেকে কে কত বেশি মাছ ধরতে পারে, কত বড় মাছ পেল এ নিয়ে একটা উৎকন্ঠা থাকে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!