একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় গল্লামারী এবং তৎকালীন খুলনা রেডিও স্টেশনটির একতলা ভবন ছিলো হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প। এই ভবনের পূর্ব পাশেই ছিলো সেমিপাকা একটি টিনশেড ঘর। এটা ছিলো হানাদার ও তাদের দোসরদের টর্চার সেল। অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষকে এখানে ধরে এনে গুলি করে, বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে, জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। বর্তমানে স্থানটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম পুরাতন প্রশাসন ভবন সংলগ্ন। সেই টিনশেডটি এখনও স্মৃতি বহন করছে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি তাঁর বক্তব্যের মধ্যে ঘোষণা করেন যে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি যাদুঘর’ স্থাপন করা হবে। শীঘ্রই এই যাদুঘর প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে। তিনি তাঁর বক্তৃতায় এর প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এ ব্যাপারে সকল মহলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। তিনি সেমিনারের আলোচককে ধন্যবাদ জানিয়ে এ ব্যাপারে সহযোগিতার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। অনুষ্ঠানে অনলাইনে আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর দ্য জেনোসাইড এন্ড জাস্টিজ ট্রাস্ট ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত। সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত। অনুষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই