চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ক্ষমা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির নেতারা বলছেন, আইনি নয় বরং তার মুক্তি ও বিদেশ যাওয়ার জন্য দায়ী রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। যা আইনমন্ত্রীর সংসদে দেয়া বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এপ্রিলের শেষ দিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল বিএনপি চেয়ারপার্সনকে। সেসময় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনও করা হয়েছিল। যদিও সরকার তখন সে আবেদন নাকচ করে দেয়। প্রায় দুই মাস চিকিৎসার পর হাসপাতাল ছেড়ে গুলশানের ভাড়া বাড়ি ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া। তার দল ও পরিবারের দাবি, উন্নত চিকিৎসা দরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। এ জন্য তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন। দলীয় আলোচনা থেকে যা গড়ায় জাতীয় সংসদ পর্যন্ত। যার জবাব দেন আইনমন্ত্রী।
সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘কথায় কথায় বলেন উনাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। যদি সাজাপ্রাপ্ত কোন আসামিকে মুক্ত করতে হয় সেটা একমাত্র আইনের মাধ্যমেই মুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর না হলে সরকারের কাছে অবশ্যই দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।’
তবে আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিএনপি নেতা ইকবাল আসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছে এটাই প্রমাণ করে বেগম জিয়ার মুক্তি বা জামিন সবই রাজনৈতিক। এই কথার মাধ্যমে তারা আরও প্রমাণ করেছে যে তারা বেগম জিয়াকে মেরে ফেলতে চায়।’
বিদ্যমান আইনেই দলীয় প্রধানের মুক্তি ও বিদেশ যাবার সুরাহা রয়েছে বলে জানান দলটির আরেক আইনজীবী নেতা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রাজনৈতিক শালীনতার পরিপন্থি। ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ ধারায় যে বিধান রয়েছে সেই বিধান মেনে সরকার যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার জন্য চেষ্টা চলছে পরিবারের পক্ষ থেকেও।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয় সরকার।
খুলনা গেজেট/টি আই