খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুর রহমান নিয়াজ হত্যার ২০ঘন্টা অতিবাহিত হলেও খুনীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে রয়েছে হত্যাকান্ডের নির্মম দৃশ্য।
পুলিশের তদন্তে ও স্থানীয় ভাষ্যমতে, হাসিবুর রহমান নিয়াজ খুনের নেপথ্যে দু’টি কারণ স্পষ্ট হয়েছে। এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার ও মাদক সিন্ডিকেটের সাথে মতনৈক্যতা; এ দু’টি বিষয়কে সামনে রেখেই তদন্ত ও ঘাতকদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিহতের ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত বুধবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ৯টার দিকে খালিশপুর লাল হাসপাতালের সামনে স্থানীয় তৈয়্যবা কলোনীর বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ হাসিবুর রহমান নিয়াজ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্বরা।
এ ঘটনায় রক্তাক্ত জখম খালিশপুর মানষী বিল্ডিং মোড়ের বাসিন্দা আলতাফের ছেলে জোবায়ের (২৫) ও ওয়ান্ডার ল্যান্ড শিশু পার্কের মোড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ সানোয়ারের ছেলে মোঃ রানা (২৫) খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশের সূত্র ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, নিহত হাসিবুর রহমান নিয়াজ স্থানীয় সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন যুবক তার সাথে থাকতো। সে কারণে এলাকায় তার একটা প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করতেন। এটা অপর গ্রুপের চক্ষুশুল। এ কারণে দু’গ্রুপের মধ্যে চলতো ঠান্ডা মাথার লড়াই। এরআগেও একাধিকবার ঝগড়া হয়েছে পরস্পরের মধ্যে। আবার, এলাকায় মাদক বিকিকিনির সিন্ডিকেটের সাথে নিয়াজের মতনৈক্য ছিল দীর্ঘদিনের। নিয়াজের কারণে তাদের মাদক বিক্রির বিঘ্ন ঘটতো। এ দু’টি কারণেই হাসিবুর রহমান নিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাব্বিরুল আলম খুলনা গেজেটকে বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের শণাক্ত করে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করবে, কথা হয়েছে। অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনরা যাতে এলাকা ছাড়তে না পারে সে জন্য খালিশপুরের বিশাল এলাকা পুলিশ বেষ্টিত রাখা হয়েছে। সড়কে সতর্কতার সাথে চেকিং চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘাতকদের গ্রেফতারে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদী তিনি।
ভিডিও দেখুন :
খুলনা গেজেট/এআইএন